পটুয়াখালী প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর দশমিনায় বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির স্বাক্ষর জাল করে সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে। দশমিনা উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ আদমপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাহেরুল বশির ও সভাপতি সরোয়ার কামাল খোকনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওই বিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের।
স্থানীয় ও বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বহরমপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ আদমপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ প্রদান করেন। ম্যানেজিং কমিটির সদস্য এবং সহকারী শিক্ষকদের স্বাক্ষর জাল করে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে প্রধান শিক্ষক মো. তাহেরুল বশির ও বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সরোয়ার কামাল খোকন গোপনে ওই পদে সহকারী শিক্ষক কবির হোসেনকে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে অবৈধভাবে নিয়োগ প্রদান করেন। গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর নিয়োগ দেওয়া হলেও কবির হোসেন তার হাজিরা খাতায় সহকারী শিক্ষকের স্বাক্ষর করে আসছে। চলতি বছরের মে মাসে সহকারী প্রধান শিক্ষক বেতন পান তিনি। জুলাই মাসের শুরু থেকে সহকারী প্রধান শিক্ষকের হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেন ওই শিক্ষক।
সরেজমিনে গিয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও নিয়োগ বোর্ডের রেজুলেশন দেখতে চাইলে কোন ডকুমেন্ট দেখাতে পারেননি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. তাহেরুল বশির।
এবিষয়ে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি মো. খলিলুর রহমান ও হাবিবুর রহমান বলেন, আমাদের স্বাক্ষর জাল জালিয়াতী করে অবৈধভাবে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও রেজুলেশন ছাড়া প্রধান শিক্ষক তাহেরুল বশির ও সভাপতি সরোয়ার কামাল খোকন গোপনে সহকারী শিক্ষক কবির হোসেনকে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ দেন। এমনকি ভ‚য়া রেজুলেশন করে সোনালী ব্যাংকে জমা দিয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষকের বেতন পাশ করেন। আমরা এ ঘটনায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের দাবী জানাই।
অভিযোগের বিষয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. কবির হোসেন বলেন, বৈধভাবে আমার নিয়োগ হয়েছে। আমি সহকারী প্রধান শিক্ষকের বেতনভাতা পেয়ে আসছি।
এবিষয়ে প্রধান শিক্ষক তাহেরুল বশিরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সহকারী প্রধান শিক্ষক কবির হোসেনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এবং সকল ডকুমেন্টপত্র আমার কাছে জমা আছে। আপনারা দেখতে চাইলে দেখাতে পারবো কিন্তু আমার একটু সময লাগবে আমি বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে বিদ্যালয়ের কাজে আসছি।
এবিষয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সেলিম মিয়া বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থ গ্রহন করা হবে।