নাজিম হাসান,রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার হাট-বাজারের সার ও কিটনাশক বিক্রেতারা কৃষি বিশেষজ্ঞ সেজে দেদারসে কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করছে বলে এলাকায় অভিযোগ উঠেছে। সার ও কিটনাশক বিক্রির স্বার্থে বিক্রেতারা কৃসকদের পরামর্শ প্রদান করে তারা অচিরে লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক বুনিয়ে গেছে। আর সার ও কিটনাশক বিক্রেতাদের পরামর্শে সব্জিকে বিশাক্ত করে তুলছে কৃষকেরা। এ উৎপাদিত ফসল বা সব্জি খাওযার পর মানব দেহে কিটনাশক জাতিয় বিষক্রিয়া জড়িয়ে পড়ছে। যা মানব দেহের জন্য মারাত্বক ক্ষতিকর। এমনকি এ কিটনাশক বিষের কারনে অনেকে মরন ব্যাধীতে আক্রান্ত হচ্ছে। এদিকে.উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় লাইসেন্সবিহীন অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে সার ও কীটনাশক বিক্রয়ের দোকান। ফলে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের তেমন ভুমিকা না থাকায় মুলত এভাবে বিক্রি করছে সার ও কীটনাশক। এলাকায় অনুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলার তাহেরপুর পৌরসভা-ভবানীগঞ্জ পৌরসভাসহ ১৬টি ইউনিয়নে গড়ে উঠা সার ও কিটনাশক বিক্রেতারা বিভিন্ন নিম্নমানের যে কোন কিটনাশক কোম্পানীর কিটনাশক কম মূল্যে কিনে উচ্চ মূল্যে বিক্রি করার জন্য নিজেরাই কৃষি বিশেষজ্ঞ সেজে কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করেন। যা গ্রামাঞ্চলের সহজ সরল ও অশিক্ষিত সাধারন কৃষকদের সহজেই কিটনাশক বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করে তাদের বাগে এনে কিটনাশক বিক্রি করছে সার ও কিটনাশক বিক্রেতারা। এছাড়াও বিভিন্ন কিটনাশক কোম্পানীর বিক্রয় প্রতিনিধিদেরও কিটনাশক বিষয়ে পরামর্শ দিতে দেখা যায়। এদিকে, সার ও কিটনাশক বিক্রেতারা কৃষি বিষয়ে বা কিটনাশক বিষয়ে জ্ঞান না থাকলেও নিজের স্বার্থ হসিলের জন্য কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করে থাকেন। এবং সার ও কিটনাশক বিক্রেতার কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে কৃষকেরা মাত্রারিক্ত কিটনাশক ব্যাবহার করছে ক্ষেতের ফসলে ও সব্জিতে। উপজেলার সাইপাড়া গ্রামের কৃষক মোতালেব বলেন, আমরা কিটনাশক এর বিষয়ে তেমন কিছু জানি না। যে ব্যাবসায়ীর কাছে কিনি সে যেভাবে জমিতে দিতে বলে সেই ভাবে জমির ফসলে দিয়ে থাকি। গোয়ালকান্দি গ্রামের কৃষক ময়দুল একই কথা বলেন। উপজেলার বিভিন্ন বাজার এলাকার কয়েকজন সার ও কিটনাশক বিক্রেতা বলেন দীর্ঘ দিন ধরে সার ও কিটনাশকের ব্যাবসা করে অভিজ্ঞতা হয়ে গেছে। কিটনাশকের লেবেল দেখে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে থাকি। তবে উপজেলা কৃষি অফিস বলছেন, মাত্রারিক্ত কিটনাশক ব্যাবহারে ফসলের ক্ষতিহয়। এবং গ্রামের সহজ সরল কৃষকেরা সার ও কিটনাশক বিক্রেতার কাছ থেকে কিটনাশক কিনে তাদের কথা মত জমিতে বা সব্জিতে প্রয়োগ করে। তবে সার ও কিটনাশক বিক্রেতাদের সচেতন করতে ট্রেনিং করানো প্রয়োজন। এছাড়া কোন কিটনাশক কোম্পানী কৃষকদের পরামর্শমুলক সভা বা সেমিনার করলে কৃষি অফিসকে জানিয়ে করতে হবে।