সাঁথিয়া(পাবনা)প্রতিনিধিঃ পাবনার সাঁথিয়ায় এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আমিরুল ইসলাম আমির(৪০)নামে যুবলীগ নেতাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতারি কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় আওয়ামীলীগ কর্মীদের বিরুদ্ধে।নিহত আমিরুল ইসলাম উপজেলার ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়নের ক্ষেতুপাড়া গ্রামের মৃত লোয়াই প্রামাণিকের ছেলে এবং ক্ষেতুপাড়া আব্দুস সাত্তার উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী।জানা গেছে তিনি উপজেলা যুবলীগের প্রস্তাবিত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।সোমবার(১০মার্চ)রাত ৮টার দিকে উপজেলার গৌরীগ্রাম ইউনিয়নের চকপাট্টা উত্তরপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই অভিযান চালিয়ে উপজেলার গৌরীগ্রাম এলাকা থেকে ক্ষেতুপাড়া গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে ইমু(২৯) এবং পাবনা মনসুরাবাদ আবাসিক এলাকার আবু সাইদ ওরফে চাদের ছেলে সিএনজি চালক মিঠুন(২৭)কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে এবং অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,পুর্ব বিরোধের জের ধরে গতকাল সোমবার রাত ৮টার দিকে ক্ষেতুপাড়া গ্রামের আওয়ামীলীগকর্মী ইউনুস আলীর ছেলে ইমু,আলতাব হোসেনের ছেলে সালেক এবং পাবনা মনসুরাবাদ আবাসিক এলাকার আবু সাইদ ওরফে চাদের ছেলে মিঠুনসহ বেশ কয়েকজন আমিরুলের ভাই সাবেক ইউপি সদস্য আশরাফ আলীকে মারধর করেন অভিযুক্তরা। এ খবর শুনে আমিরুল সেখানে গেলে অভিযুক্তরা তাকে সিএনজিতে করে তুলে নিয়ে গিয়ে কিছু দূরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়ে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।এ সময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সাঁথিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক এনজামামুল হক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি বলেন,সে পরিবহনেই মারা গেছেন। নিহতের ভাই আশরাফ আলীকে আহত অবস্থায় সাঁথিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহতের ভাই আশরাফ আলী মেম্বার জানান,কয়েকবছর পূর্বে স্থানীয় বাজারে চায়ের দোকানে তাদের সাথে একটু ঝামেলা হয়েছিল। বর্তমানে কোন সমস্যা নাই।ঘটনার দিন তাঁরা ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করে এবং আমার ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করে। আমি ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি চাই।
নিহতের ভাতিজা সোহেল জানায়,সিএনজি চালিত অটোরিকশায় করে কিছু লোকজন আমার চাচা আশরাফ মেম্বারকে মারধর করার কথা শুনে তাৎক্ষনিক আমিরুল মোটরসাইকেল নিয়ে সিএনজিকে ধাওয়া করে তাদের ধরে ফেলে।এরপর সিএনজিতে থাকা প্রতিপক্ষরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে বুকে-পেটে কুপিয়ে হত্যা করে।
নিহতের আরেক ভাতিজা রোকন জানান,ওদের সাথে অনেক আগে থেকে চাচাদের শত্রæতা ছিল। আমার চাচাকে ওরা তুলে নিয়ে চকপাট্টা এসে তিন-চারজন মিলে কুপিয়ে ফেলে রেখে চলে যায়।
সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)সাইদুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে এবং দুজনকে গ্রেপ্তার হয়েছে।মরদেহ ময়নাতদন্তের পর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।মঙ্গলবার(১১মার্চ) গ্রেপ্তারকৃতদের পাবনা আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।পূর্বশত্রæতার জের ধরে এ হত্যাকান্ড হতে পারে বলে তিনি জানান।