প্রিন্ট এর তারিখঃ মার্চ ১২, ২০২৫, ৭:০১ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ মার্চ ৭, ২০২৫, ৪:৪৫ অপরাহ্ণ
লালমনিরহাটে অনুর্বর জমিতে তুলা চাষ বাম্পার ফলন কৃষকের মুখে হাসি

লালমনিরহাট প্রতিনিধি। লালমনিরহাটে অনুর্বর জমিতে উন্নত জাতের তুলা চাষ করে দিন দিন লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। যেসব জমিতে ভালো শস্য হয় না, সেই সব জমিতে চাষ হচ্ছে তুলা। বেশি লাভজনক হওয়ায় লালমনিরহাটের কৃষকরা তুলা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। তুলা উন্নয়ন অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর লালমনিরহাট জেলায় ১৫৪ হেক্টর জমিতে উন্নত জাতের হাইব্রিড জাতের তুলা চাষ হয়েছে। বিঘাপ্রতি গড়ে প্রায় ১২ মন তুলা উৎপাদন হয়েছে। বর্তমানে কৃষকরা চাষকৃত তুলা সংগ্রহ করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।তুলা চাষি কর্ণপুর গ্রামের বৈদ্ধনাথ রায় বলেন, চলতি মৌসুমে নিজের ও অন্যের জমি লিজ নিয়ে তুলা চাষ করেছি। ফলন বেশ ভালো হয়েছে। আশা করছি ভালো দামে তুলা বিক্রি করতে পারব। কোদালখাতা গ্রামের তুলা চাষি রমেশ চন্দ্র বর্মণ বলেন, অন্য ফসলের চেয়ে হাইব্রীড (হোয়াইট গোল্ড-২) তুলা চাষে অন্যান্য ফসলের চেয়ে খরচ কম। এ ছাড়া তুলা চাষের জন্য সরকারিভাবে বীজ, সার ও ওষুধ দেওয়া হয়। তুলা উঠতে প্রায় ৬ মাস সময় লাগে। বিঘা প্রতি ফলন পাওয়া যায় প্রায় ১০ হতে ১২ মন। একই গ্রামের শ্রী গণেশ চন্দ্র রায় জানান, এ বছর তুলার ফলন ভালো হয়েছে। ১ বিঘা জমিতে তুলা উৎপাদন হচ্ছে ১০ থেকে ১২ মণ। প্রতিমণ তুলা বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৮০০ টাকা পর্যন্ত। লালমনিরহাট সদর উপজেলা পর্যায়ের কটন ইউনিট অফিসার মোঃ রেজাউল করিম জানান, অনুর্বর জমিতে তুলা চাষে আগ্রহী করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এতে চাষিদের মাঝে আগ্রহ বেড়েছে। প্রতিমণ তুলা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান চাষিদের কাছ থেকে ৩ হাজার ৮০০ টাকা দরে কিনে নিচ্ছে। এ বছর তুলার ফলনও খুব ভালো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রংপুর জোন তুলা উন্নয়ন বোর্ড ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নে তুলার সাথে সবজি, মসলা, ডাল ও অন্যান্য ফসলের চাষ কর্মসূচির অর্থায়নে লালমনিরহাটে তুলার প্রদর্শনী প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সুপারি বাগানে তুলার সাথে মুগ ডালের চাষ প্রদর্শনীতে হাইব্রীড (হোয়াইট গোল্ড-২) জাতের চাষ করা হয়েছে। বর্তমানে তুলা সংগ্রহ করা হচ্ছে।
Copyright © 2025 সংবাদ প্রতিক্ষণ. All rights reserved.