শার্শা (যশোর) সংবাদদাতা \ সরকারী খাস জমিতে ১৮ বছর বসবাসকারী দরিদ্র ও ভূমিহীন এক গৃহবধুর ঘরবাড়ী ভাংচুর করে উচ্ছেদ করেছে এলাকার প্রভাবশালী নেতা আব্দুল মান্নান সহ চাঁদাবাজ ও সান্ত্রাসীরা। ঘটনাটি ঘটেছে শার্শা উপজেলার হরিনাপোতা গ্রামে। বিলম্বে প্রাপ্ত অভিযোগে জানা যায় ইসমত আরা কাকলি শার্শা থানার অফিসার ইনর্চাজ বরাবর প্রতিকার চেয়ে অভিযোগ দায়ের করার পর এএসআই আল আমিন ঘটনা স্থল তদন্ত করে সত্যতা প্রমান পায় কিন্তু ঐ সন্ত্রাসীরা বীরদর্পে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে যে থানায় যাতে মামলা না হয় শার্শা থানার অফিসার ইনর্চাজ ও কতিপয় সাংবাদিকদের ম্যানেজ করার জন্য গ্রাম থেকে প্রায় ১ লক্ষ টাকা চাদা উঠিয়েছে। ইসমত আরা কাকলি তার অভিযোগে উলে্যখ করেন দীর্ঘ দিন সরকারী খাস জমিতে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ দখর করে আসছি। গ্রামের কতিপয় সন্ত্রাসী হরিনাপোতা গ্রামের মৃত লুৎফর রহমানের পুত্র আব্দুল মান্নান ইউপি সদস্য ছৈয়েদুল ইসলাম, মৃত যতন আলীর পুত্র আব্দুল খালেক, আনছার আলীর পুত্র ইমান আলী, শাজাহান আলীর পুত্র মিলন, খোদা বক্সের পুত্র সাহেব আলী মৃত মোবারক হোসেনের পুত্র হাবুলাহ, আব্দুল খালেকের পুত্র মোস্তফা, সিরাজুল ইসলামের পুত্র আজিজুর রহমান খোদা বক্সের পুত্র ইয়ার আলী সহ ১০/১৫ জনের সান্ত্রাসী দল লাঠিশোঠা দিয়ে প্রকাশ্যে দিন দুপুুরে গত ১৪ই ফেব্র“য়ারী বেলা আড়াইটার সময় একমাত্র বসত ঘরটি মুহুর্তের ভাংচুর করে পুকুরে ফেলে দেয়। অথচ অদ্যবধি ইসমত আরা কাকলি বসত ঘর ভাংচুরের ঘটানায় বিচারের দাবিতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। অসহায় ইসমত আরা কাকলি জানায় ঐ দূরবৃত্ত্যরা গত ৩১ জানুয়ারী রাতের আধারে এসে বেধড়ক মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করে। জরুরী চিকিৎসা নিতে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়। বিষয়টি উপজেলা প্রশাষনের দৃষ্টি গোচর হলে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ঘটনা স্থলে যেয়ে কাকলির বসত ভিটা যেখানে ছিল ঐ জায়গাটি সরকারী সম্পত্তি হিসেবে চিহ্নিত করে সাইন বোর্ড টানিয়ে দিয়েছে। এলাকা বাসির প্রশ্ন সরকারী সম্পত্তির উপর বসবাসকারি যেই হইক না কেন উচ্ছেদ করার কোন অধিকার কাউকে দেওয়া হয়নি। কাকলি এবং তার পরিবার একমাত্র বসত ঘর ভাংচুর করায় সুবিচারের দাবিতে পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছে।