দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধি:

গত বৃহস্পতিবার রাতে দুপচাঁচিয়া উপজেলা ইসলামপুর খানাবাড়ি গ্রামে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে শালিসি বৈঠকে রায় দেওয়াকে কেন্দ্র করে দু'পক্ষের মারামারির ঘটনায় পুলিশ দু'জনকে আটক করেছে।

জানা গেছে, উপজেলা সদরের ইসলামপুর খানাবাড়ি গ্রামের আক্কাস আলী (৪৬) এর বিরুদ্ধে একই এলাকার তৃতীয় শ্রেণির এক শিশু ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগে উল্লেখ করা হয় শিশুটি ঘটনার দিন ১১জুন বুধবার তার আত্মীয় আক্কাস আলীর বাড়িতে গোসল করতে যায়। এসময় আক্কাস আলী গোসল খানায় প্রবেশ করে শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। শিশুটির মা ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টি দেখে গ্রামে জানাজানি হয়। এ বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে গ্রামেই শালিসি বৈঠক বসে। স্থানীয় মেম্বার বাবু সরদার মাতব্বর সদর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুক্তার হোসেন সহ অনেকের উপস্থিতিতে শালিসি বৈঠকে আক্কাস আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগের কোন সত্যতা বা প্রমানাদি মিলে নাই।

অভিযোগের কোন সত্যতা না পাওয়া সত্বেও বৈঠকের মাতব্বর দু'একজন আক্কাস আলীকে  কান ধরে উঠা বসা সহ নাকে খড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এতেই দু'পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টিসহ মারামারি শুরু হয়।

এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে আক্কাস আলী আহত হয়। এসময় বৈঠকে উপস্থিত জনগণ দু'পক্ষের দু'জন উপজেলা সদরের পশ্চিম আলোহালী গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে মামরুল ইসলাম ও ইসলামপুর খানাবাড়ি এলাকার মৃত শুকুর আলীর ছেলে ছালাম শেখকে আটক করে।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং আটককৃত দু'জনকে থানায় নিয়ে আসে। এ বিষয়ে পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত নাসিরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে যান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেন এবং আটকৃত দু'জনকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।

এ সংক্রান্তে কোন পক্ষই অভিযোগ না দেওয়ায় মারামারির ঘটনায় দু'জনকে গতকাল শুক্রবার বগুড়া কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

এই ঘটনায় ওই গ্রাম এলাকায় চাপা উত্তেজনা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।