আজহারুল ইসলাম সাথী ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে বিরাহিমপুর গুচ্ছগ্রামে অবস্থিত রহিম শাহ ভান্ডারী মাজার পুড়িয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ তৌহিদি জনতা। এসময় মাজার থেকে পালিয়ে গেছে মাজারের খাদেম এবং বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত ভক্তরা। রাতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রফিকুল ইসলাম,হাকিমপুর-ঘোড়াঘাট সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার আ.ন.ম নিয়ামত উল্লাহ্ ,ঘোড়াঘাট থানার ওসি মো.নাজমুল হকসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ৩নং সিংড়া ইউপি চেয়ারম্যান সাজ্জাত হোসেনের প্রচেষ্টায় মাজার থেকে একটি সিন্দুক উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় ভান্ডারী গং কর্তৃক কুরআন অবমাননা ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অসামাজিক কার্যকলাপ প্রতিবাদে তৌহিদী জনতার লাঠি মিছিল শেষে কথিত রহিম শাহ ভান্ডারীর মাজারে ভাংচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। ভেঙে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে মাজারের মুল স্তম্ভ। এ সময় উপজেলার প্রায় ৫/৭ হাজার তৌহিদী জনতা বিক্ষোভ ও লাঠি মিছিল, ভাংচুর ও অগ্নি-সংযোগে অংশগ্রহণ করেন। শুক্রবার (২৮ ফেব্রæয়ারি) বিকেল ৫ টায় ৩নং সিংড়া ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণ থেকে দলমত নির্বিশেষে উপজেলার ধর্মপ্রাণ মুসলমান ও তৌহিদী জনতার ব্যানারে আয়োজিত এক বিক্ষোভ ও লাঠি মিছিল বের হয়ে মাজারে গিয়ে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ সময় মাজারে বিভিন্ন স্থাপনা ও ওরসের নামে গান-বাজনা, খাবার আয়োজনের বিভিন্ন সামগ্রী ভাংচুর । বিশ্রামাগার গানবাজনার, প্যান্ডেল ,বিভিন্ন স্থাপনা ও ধর্মের নামে গান বাজনা মঞ্চ ও খাবার আয়োজনের বিভিন্ন সামগ্রী ভাংচুর ও আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ তৌহিদি জনতা ও লুটপাট করা হয়েছে । স্থানীয় জনতা অভিযোগ করে জানান, কথিত পীরের এই মাজারে অসামাজিক কার্যকলাপ, জিকিরের নারী-পুরুষ একত্র হয়ে গান-বাজনা ও ভন্ডামি করে থাকে রহিমের নামে পশু কোরবানি করা সহ ইসলাম বিরুদ্ধি কর্মকান্ড চালিয়ে আসছিল। এগুলিকে কোনভাবেই ইসলাম সমর্থন করেনা। মুসল্লিরা আরও বলেন, এই অনৈতিক কাজ বন্ধের দাবীতে আমরা এর আগে বিক্ষোভ মিছিল ও গণ সমাবেশ করেছি। এছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ওসি সহ উর্ধতন কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপিও দিয়েছে। কিন্তু কোনো ধরনের ব্যবস্থা না নেওয়ায় আমরা এ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। ইসলাম ও ধর্মের নামে কোন ধরণের নোংরামি আমরা ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা জীবন থাকতে কোন ভাবেই বরদাস্ত করবো না। শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার সময় স্থানীয় ৩নং সিংড়া ইউপি চেয়ারম্যান সাজ্জাত হোসেনের প্রচেষ্টায় মাজার থেকে একটি সিন্দুক উদ্ধার করা হয়। তবে সিন্দুকের মধ্যে কি আছে তা সঠিক তথ্য জানা যায়নি।