সঞ্জয় ব্যানার্জী,পটুয়াখালী প্রতিনিধি।। পটুয়াখালীতে নতুন বছরের প্রায় দুই মাস অতিবাহিত হলেও নতুন পাঠ্যবই হাতে না পেয়ে হতাশ শিক্ষার্থীরা। একারনে উপজেলার ৬ষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীসহ অভিভাবক হতাশ পয়ে পড়েছেন। শিক্ষার্থীদের হাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে পাঠ্যবই তুলে দিতে না পারলে ধীরে ধীরে স্কুল বিমুখ হওয়ার অসংখ্য করছেন অভিভাবক সহ সংশ্লিষ্ট মহল।
মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে যানা যায়, দশমিনা উপজেলায় ৮ টি জুনিয়র স্কুল ও ২৫ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৬ হাজার ৫১১ জন ও ১৯ টি মাদ্রাসায় ৮ হাজার ৯৫০ জন এবং ৫ টি কারিগরি শাখায় ৫২০ জন শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত রয়েছে।
জানা যায়, চলতি মাসের ৫ ফেব্রুয়ারী উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে শতভাগ পাঠ্যবই বিতরন করা হয়। তবে নতুন বছরের প্রায় দুই মাস অকিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছেনি অধিকাংশ পাঠ্যবই। একারনে হতাশ হয়ে পড়েছেন স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষাক-অভিভাবক সহ কয়েক হাজার শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীরা পাঠ্যবই থেকে অনেকটা পিছেয়ে পড়ছে এমন আশঙ্কা করছেন অভিভাবক মহল। এদিকে অনেক শিক্ষার্থী পাঠ্যবই না পেয়ে বিদ্যালয়ে যেতে চাচ্ছেনা। ফলে ব্যাহত হচ্ছে বিদ্যালয়ের পাঠদান। শিক্ষার্থীরা নতুন বই কবে পাবেন এমন নিশ্চয়তা না থাকায় দুশ্চিন্তায় রয়েছেন শিক্ষক-অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।
এবিষয়ে উপজেলার গছানী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শেণীর শিক্ষার্থী সুরমিতা রানী ও ফারহানা এবং মাহাথিব হোসেন নিলয় জানান, ফেব্রুয়ারী মাসও শেষ এখণ পর্যন্ত ক্লাসের সব বই পাইনি আমরা। লেখাপড়ার দিক থেকে অনেকটা পিছিয়ে যাচ্ছি।
দশমিনা সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবক জায়েদ মোল্লা বলেন, পাঠ্যবই না পেয়ে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ কমছে। সরকারের প্রতি অনুরোধ করি দ্রুত সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরন করার জন্য।
অণ্য আরেক অভিভাবক নির্মাল চন্দ্র দাস বলেন, আমি বিদ্যুৎ এর কাজ করে সংসার চালাই। আমার এত পয়সা নাই। আমি কমম্পিউটার থেকে প্রিন্ট করে ছেলেকে পড়ানোর। শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যবইয়ের বেশি প্রয়োজন।
এবিষয়ে দশমিনা সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারি শিক্ষকতাহমিনা সুলতানা বলেন, সকল শিক্ষার্থীদের হাতে পাঠ্যবই না থাকায় পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। বই ছাড়া তো একটু সমস্যা হচ্ছে। তারপরেও পিডিএফ থেকে ডাউনলোড বোর্ডে লিখে দিয়ে শিক্ষার্থীদের শেখানোর চেষ্টা করছি। শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসতে অনীহা প্রকাশ করছেন। এজন্য তারা কিছুটা পিছিয়ে যাচ্ছে।
এবিষয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সেলিম মিয়া বলেন, আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের মাঝে বাকী পাঠ্যবই তুলে দেওয়া সম্বব হবে।