আব্দুল মান্নান, শার্শা (যশোর) থেকে \ যশোরের শার্শা উপজেলার বুরুজবাগান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী আজিজুর রহমান এখন মস্তবড় সুদ ব্যবসায়ী। তার অপকর্ম ও সুদ কারবারি যাতে প্রকাশ্যে কেহ জানতে না পারে সেজন্য আব্দুল আজিজ তার ২য় স্ত্রীর মাধ্যমে সুর্যমুখী এনজিওর মাধ্যমে প্রায় ১ কোটি টাকা বিভিন্ন জনকে সুদ কারবারির মাধ্যমে প্রদান করে তা সপ্তাহিক ও মাসিক কিস্তিতে আদায় করছে। কেরানী আব্দুল আজিজ আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হওয়ার প্রধান উৎস বিগত প্রধান শিক্ষক সাহাবুদ্দিন অবসরে যাওয়ার পর থেকে ঐ সময়ে যাহারা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছেন তাদের কে ভুল বুঝিয়ে ভূয়া ভাইচারের মাধ্যমে প্রতিমাসে ১৫ হাজার টাকার পরিবর্তে কোন কোন মাসে ১ লক্ষ ৫৪ হাজার, ৭৩ হাজার, ৫০ হাজার, ৫৮ হাজার এভাবেই অর্থ তোসরুপ করে প্রতিষ্ঠানের টাকা হজম করেছেন। কেহই কিছু বলতে পারেনি আজিজকে। বিগত সরকারের সময় আব্দুল আজিজ নিজেকে ব্যাপক ক্ষমতাধর মনে করে বিভিন্ন খাতে হাজার হাজার টাকার ভূয়া ভাইচারের মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে তিনি এখন মস্তবড় সুদ ব্যবসায়ী। বিগত ফেব্র“য়ারী মাসে ৭৩ হাজার ৮ শত টাকা এবং মার্চ মাসে ১ লক্ষ ৫৪ হাজার টাকা ভূয়া ভাইচারের মাধ্যমে তোসরুপ করেছেন। কাঠের পুতুল প্রধান শিক্ষক তিনি কিছুই জানেন না তবে ভাউচারটি স্বাক্ষর করার কথা না, সেটিও আজিজের অনুরোধে স্বাক্ষর করে থাকেন বিভিন্ন কৌশলে অফিস সহকারী আব্দুল আজিজ তৃতিয় শ্রেণীর কর্মচারি হিসেবে যোগদানের পর থেকে উক্ত বিদ্যালয়ের লাগামহিন ভাবে আর্থিক দূর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছে। বিদ্যালয়ের বিভিন্ন ছাত্র/ছাত্রীদের এবং অভিভাবকদের বোর্ডের অনলাইনে কাজ করার কথা বলে অভিভাবকদের জিম্মী করে প্রতি শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করে থাকে। তাছাড়া এসএসসি ফরম পূরন করার সময় কেজওয়াল শির্ক্ষাথীদের নিকট থেকে ৮ হাজার টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা আদায় করে থাকে। এদিকে বিদ্যালয়ের প্রসংসাপত্র, প্রত্যয়নপত্র, সনদপত্র, রেজিঃ কার্ড, প্রবেশপত্র, মার্কশিট প্রদানের সময় প্রত্যেকের কাছ থেকে ২শত টাকা থেকে ৩ শত টাকা আদায় করে বেমালুম আত্মসাথ করে। ২০২২ সাথে প্রধান শিক্ষক অবসরে যাওয়ার পর থেকে প্রতি মাসে ভূয়া ভাউচারের মাধ্যমে সর্বনিম্ন ৩০ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা পকেটস্ত করে থাকে। শ্রেণী শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেতন পরীক্ষার ফিস, সেসন চার্জ ও উন্নয়ন ফিস আদায় করে অফিস সহকারীর নিকট জমা দিলে তা ব্যাংকে জমা না দিয়ে সে নিজেই আত্মসাথ করে বলে একাধিক শিক্ষক অভিযোগ করেছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন প্রবিন শিক্ষক এ প্রতিনিধিকে বলেন স¤প্রতি ২ মাস পূর্বে ৫৬ হাজার ৭ শত টাকা শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে আদায় করে ব্যাংকে জমা দেওয়ার জন্য অফিস সহকারী আব্দুল আজিজের নিকট জমা দিলে সে ব্যাংকে জমা না দিয়ে সম্পূর্ণ টাকা আত্মসাথ করে। সে প্রতিনিয়ত অফিসের বিভিন্ন কাজের নাম ভাঙিয়ে কখন শার্শা কখন যশোর বোর্ডে যাওয়ার কথা বলে বিভিন্ন ভাবে ভূয়া ভাউচার তৈরী করে লক্ষ লক্ষ টাকা লাগামহিন ভাবে তোসরুপ করে চলেছে। বিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষক তার এহেন কর্মকন্ডে খুবই নাখোষ। তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী আব্দুল আজিজ এর সমন্ধকাঠি গ্রামে পারিবারিক অবস্থা খুবি খারাপ অথচ আব্দুল আজিজ নাভারণ বাজারে জমি ক্রয় করে আলিশান বাড়ী নির্মান করেছে। প্রতি মাসে বিদ্যালয়ের দোকান ভাড়া আদায় হয়। সেখানেও গোজামিল দিয়ে হাজার হাজার টাকা আত্মসাথ এর অভিযোগ উঠেছে। সুদ ব্যবসায়ী আজিজের অপকর্ম উদঘাটনের জন্য চাটার অব একান্টস প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নিরিক্ষা অডিটের দাবী জানিয়েছেন সাধারণ স্বচেতন মহল ও অভিভাবকরা।
প্রধান উপদেষ্টা : ড. সরকার মো.আবুল কালাম আজাদ,
সম্পাদক ও প্রকাশক : একরামুল হক বেলাল,
নির্বাহী সম্পাদকঃ জিকরুল হক
ঢাকা অফিস- ২২, মা ভিলা ,পূর্ব তেজতুরী বাজার, ফার্মগেট-১২১৫। ইমেইল-spnews17@gmail.com ০১৩১৪১৪৬৬৬২ রেলওয়ে পার্ক,পার্বতীপুর,দিনাজপুর। ০১৭১২৩৭০৮০০
Copyright © 2025 Spnewsbd. All rights reserved.