মোঃ জাহাঙ্গীর আলম শায়েস্তানগরী ,নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালী জেলা নির্বাচন অফিসের এক কর্মচারি ঘুষের টাকা ফেরত দিয়েছেন। গত বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সাংবাদিকের থেকে নেওয়া ওই ঘুষের টাকা জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ নওয়াবুল ইসলামের হস্তক্ষেপে ফেরত দেওয়া হয়।
লিখিত অভিযোগ স‚ত্রে জানা যায়, নোয়াখালী জেলা নির্বাচন অফিসে জাতীয় পরিচয় পত্রের অনলাইন ভেরিফাইড এবং অন্যন্য সেবা গ্রহণের জন্য গেলে সেবা গ্রহিতাদের কাছ থেকে অফিসের কিছু কর্মচারি অনৈতিকভাবে টাকা নেন। সত্যতা জানতে দৈনিক আমার সংবাদের নোয়াখালী প্রতিনিধি ইমাম উদ্দিন আজাদ গত ১৯ ফেব্রুয়ারি দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নিজের এবং তার বন্ধুর জাতীয় পরিচয় পত্রের অনলাইন ভেরিফাইড কপি সংগ্রহের জন্য গেলে হিসাব সহকারি টবলু স‚ত্রধর সাংবাদিকের কাছ থেকে টাকা নেন।
এ বিষয়ে জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা নওয়াফুল ইসলামকে জানালে তিনি ঘুষের টাকা গুলো উদ্ধার করে দেন। পরবর্তীতে তার রুম থেকে বের হয়ে দ্বিতীয় তলায় উঠছে জেলা নির্বাচন অফিসের উচ্চমান সহকারী মোহাম্মদ মহিউদ্দিন সাংবাদিক আজাদকে থামিয়ে অকথ্য ভাষায় ভর্ৎসনা করে।
অনুসন্ধানে জানাযায়, মোহাম্মদ মহিউদ্দিন দীর্ঘদিন এ অফিসে কর্মরত থাকায় দাম্ভিকতার সাথে ফ্যাসিস্ট ও স্বৈরাচার নিয়ে আঁতাত করে টাকা না পেলে সেবা প্রার্থীদের তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অনৈতিক সুবিধা গ্রহণ করে অনেক টাকার মালিক বনে যান। ইতিমধ্যে সে পৌরসভার হরিনারায়ণ পুরে জায়গা কিনে যৌথভাবে বহুতল ভবন নির্মাণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা নির্বাচন অফিসের উচ্চমান সহকারী মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, সাংবাদিকের সাথে আমার উচ্চ বাক্য বিনিময় হয়েছে। তিনি পাবলিকের দুটি সংশোধনী ও দুটি ভেরিফাইড কাজ নিয়ে আসে। পরে কাজ করে দিলে তিনি ভেরিফাইড কপি চান। পরে অফিসের কর্মরত কর্মিচারিরা বলছে এগুলো কি আপনার। তিনি তার নয় বললে তার টাকা রাখে। পরে তিনি জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তাকে জানালে তার নির্দেশে টাকা গুলো ফেরত দেওয়া হয়।
যোগাযোগ করা হলে জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ নওয়াবুল ইসলাম বলেন, কথাবার্তা হয়েছে, আমি বিষয়টি দেখতেছি।