সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :; বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, তারেক রহমানের নেতৃত্বেই এদেশে নির্বাচন হবে এবং বিএনপি নির্বাচন করে জয়লাভ করবে এটা আমরা বিশ^াস করি। কারণ আমরা জনগণকে রেখে পালিয়ে যাই নাই। হাজার নির্যাতন-হামলা, মামলার মধ্যেও বিএনপি পালিয়ে যায় নাই। তারেক রহমান নতুন রাজনীতি সৃষ্টি করেছে। তিনি বাংলাদেশের মানুষের কাছে জননন্দিত নেতা। উনার প্রত্যকটা বক্তব্য মানুষ গ্রহন করেন। সমাদর করে। সুতরাং আপনারা হাজার ঘেউ ঘেউ করে লাভ হবে না। তারেক রহমান নেতা, তারেক রহমান বীরের বেশে দেশে ফিরবেন। রোববার দুপুরে আমরা বিএনপি পরিবার আয়োজিত জুলাই- আগষ্ট ২০২৪ ছাত্র জনতার আন্দোলনে সিরাজগঞ্জের শহীদ পরিবারের সাথে সাক্ষাত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আজ আমরা শুনি শুধু সংস্কার সংস্কার। যারা এগুলো বলছেন, তারা বিএনপির ৩১ দফা দেখে নিবেন। তাতে কি লেখা রয়েছে, আর আপনারা কি কি দিচ্ছেন। ৩১ দফা লেখা রয়েছে একজন ব্যক্তি দুবার প্রধানমন্ত্রী হতে পারবে না। বলা হয়েছে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য করা হবে। এর চেয়ে বড় সংস্কার কি হতে পারে? কোনটা বাদ রয়েছে ৩১ দফায়। তারপরেও বলছি আপনার সংস্কার করছেন করেন। তিনি বলেন, প্রায় ৬ মাস চলে গেছে তারপরেও নির্বাচনের কোন খবর পাচ্ছি না। এখন শুনছি নতুন দল হচ্ছে। আবার একদল নতুন করে লাফানো শুরু করেছে। দলটির আমির বলছে, শেখ মুজিবুর মারা গেছে, শেখ মুজিবুরের মেয়ে আওয়ামীলীগের হাল ধরেছে। জিয়াউর রহমান মারা গেছে বেগম খালেদা জিয়া দলের হাল ধরেছে। এখন তারেক রহমান হাল ধরেছেন। আর জামায়াতের গোলাম আজম মারা গেছে মতিয়ার রহমান হাল ধরেছে। মতিয়ার চলে গেছেন দলের অন্যান্যরা নেতারা হাল ধরেছেন। তাদের কাছে আমাদের প্রশ্ন, জিয়াউর রহমানের পর জনগন বেগম খালেদা জিয়াকে দায়িত্ব দিয়েছে। জনগনের কাছে জিয়াউর রহমানের পরিবার মুলধারার রাজনীতি।
তিনি জামায়াতকে উদ্দেশ্যে করে বলেন,৭২ সংবিধানে উল্লেখ ছিল ধর্মভিত্তিক দলের রাজনীতি চলবে না। জিয়াউর রহমান ক্ষমতা গ্রহন করে রাজনীতিকে সার্বজনীন করার জন্য ্আপনাদের লাইসেন্স দিয়েছেন। আর আজকে বলছেন, জিয়াউর রহমানের পরিবারতন্ত্র চলবে না। জনগন চাইলে তোমরা কি করবে? জনগন চায় জিয়াউর রহমানের পরিবার আমাদের নেতৃত্ব দিবে। তিনি বলেন, সংস্কার চান? তাহলে নির্বাচন দিন। সরকার গঠন করে সংস্কার করা হবে। সরকার আইন পাশ করবেন।
তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, যারা বিগত ১৬ বছর রাজপথে মাঠে ছিল, যাদের নামে মামলা রয়েছে, জেল খেটেছে। তারাই বিএনপির নেতৃত্বে আসবে। বিএনপি কোন নেতাকর্মী আওয়ামীলীগের দোসরদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিবেন না। কারন কেউটে সাপের চেয়েও আওয়ামীলীগ ভয়ঙ্কর।
ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, আওয়ামীলীগ জবান ও জাহাঙ্গীরকে হত্যার মাধ্যমে হত্যার রাজনীতি শুরু করেছে। ৪ আগষ্ট শহরের প্রধান সড়কে যুবদল নেতা সোহানুর রহমান রঞ্জুকে শুধু গুলিই করেনি জবাই করে সিরাজগঞ্জকে রক্তে রঞ্জিত করেছে। আওয়ামীলীগকে কোন ছাড় দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, আজকে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে শহীদ পরিবারকে সামান্য সহায়তা করা হলো। বিএনপি সবসময় শহীদ পরিবারের পাশে থাকবে এবং আগামীতে তাদেরকে পুনর্বাসন করে দেওয়া হবে বলেও ঘোষনা দেন।
আমরা বিএনপির পরিবারের আহবায়ক আতিকুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, আমরা বিএনপি পরিবারের উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার মোস্তফা ই জামান সেলিম, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কনকচাঁপা, জেলা বিএনপির সভাপতি রুমানা মাহমুদ, সাধারন সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু, আমরা বিএনপি পরিবারের সদস্য সচিব কৃষিবিদ মিথুন। আলোচনা সভা শেষে ১১জন শহীদ পরিবার এবং একজন আহত পরিবারের মাধ্যে নগদ ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।