সাঁথিয়া(পাবনা)প্রতিনিধিঃ পাবনা সাঁথিয়ায় সুজন(৪০)নামে এক অটোভ্যান চালককে ভাড়ার কথা বলে মোবাইলফোনে ডেকে নিয়ে হত্যা করে ভ্যান ছিনতাই করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত সুজন উপজেলার নন্দনপুর ইউনিয়নের খয়েরবাড়িয়া গ্রামের ইসহাক আলী প্রামানিকের ছেলে।শনিবার(১৫ফেব্রæয়ারি)সকালে উপজেলার সাঁথিয়া-মাধপুর আঞ্চলিক সড়কের স্বরপ নামক স্থানে সেতুর পাশে পুকুর থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পরিবার ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,সুজন কিছুদিন আগে প্রায় এক লক্ষ টাকা দিয়ে একটি নতুন অটোভ্যান ক্রয় করে। গতকাল শুক্রবার (১৪ফেব্রæয়ারী)রাত দশটার দিকে মোবাইলফোনে তাকে ভাড়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে যায় কে বা কারা।পরে সুজনের মোবাইলফোন বন্ধ পান স্বজনেরা এবং তিনি আর বাড়ি ফিরে আসেনি। পরদিন শনিবার (১৫ফেব্রæয়ারি)সকালে স্থানীয়রা একটি পুকুরে লাশ ভাসতে দেখে।খবর পেয়ে সুজনের পরিবারের সদস্যরা ঘটনা স্থলে এসে লাশ সনাক্ত করেন ।
নিহত সুজনের ভাই আব্দুল ওহাব জানান,সুজন জোড়গাছা গ্রামে তার শশুর আজগর আলীর বাড়িতে থাকে। গতকাল শুক্রবার(১৪ফেব্রæয়ারি)রাত ১০টার দিকে কে বা কারা মোবাইলফোনে কথা বলে।এরপর সুজন অটোভ্যান নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে না আসায়। আমারা বিভিন্ন স্থানে খুঁজতে থাকি।শনিবার সকালে স্থানীয়রা সাঁথিয়া-মাধপুর আঞ্চলিক সড়কের স্বরপ সেতুর পাশে পুকুরে লাশ ভাসতে দেখে খবর দিলে আমার ভাইকে শনাক্ত করি।
সাঁথিয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)সাইদুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ট্রিপল নাইনে(৯৯৯) ফোন পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পাবনা মর্গে পাঠানো হয়েছে। লাশের গলায় ফাঁসের চিহ্ন আছে। প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে অটোভ্যানের জন্যই তাকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে।বিষয়টি তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।