এনামুল হক রাশেদী, বাঁশখালী(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলা সদর সহ বিভিন্ন ইউনিয়নের ফার্মেসী, দোকান সহ বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ভ্রাম্যমান অদালতের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। নিয়মিত অভিযানে ফার্মেসীতে মেয়াদোত্তীর্ন ঔষধ সংরক্ষন, বিক্রি, কোন রকম ডিগ্রী ব্যতীত হাতুড়ে ডাক্তার দিয়ে রোগী দেখা, প্রেসক্রিপশন দেওয়া, জীবন রক্ষাকারী ঔষধসমুহ যথাযথভাবে সংরক্ষন না করা, অবৈধভাবে সরকারী খাসজায়গা দখল করা, বিভিন্ন দোকানে অননুমোদিত ভাবে রাস্তার উপর গ্যাস সিলিন্ডার রেখে বিক্রি করা, হোটেল রেস্টুরেন্টে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, বাসি পঁচা খাবার বিক্রি এবং সরকারী আদেশ অমান্য করে রাত ৮ টার পর বিদ্যুৎ জ্বেলে দোকান পাট খোলা রাখার অপরাধে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হচ্ছে।

২৩ আগস্ট'২২ ইং মঙ্গলবার সকাল ১০.৩০ হতে দুপুর ১.৩০ পর্যন্ত বাঁশখালী উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার মাহমুদুল হাসানের নেতৃত্বে শক্তিশালী একটি আভিযানিক টীম উপজেলা সদর, জলদী, জঙ্গল কালীপুর ও কাথারিয়া ইউনিয়নে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। এই সময় জলদী বাজারে তাহের ফার্মেসীর সত্ত্বাধিকারী আবু তাহের (৪৫) কে মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষুধ সংরক্ষণ-বিক্রি, কোন রকম প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রি  ব্যাতীত রোগী দেখা ও প্রেসক্রিপশন প্রদান, যথাযথভাবে ইনজেকশনসহ জীবন রক্ষাকারী ঔষুধ সংরক্ষণ না করা ও রোগীকে ইনজেকশন পুশ করার অপরাধে ১০,০০০  টাকা, কাথারিয়া বাজারে অননুমোদিত ভাবে রাস্তার উপর  সিলিন্ডার গ্যাস রেখে বিক্রির অপরাধে কায়সার ষ্টোরের মালিক কায়সার(৩৫) কে ৫,০০০ টাকা ও মায়ের দোয়া বুক হাউজের মালিক জসীমউদ্দিন (৩৮) কে ৫,০০০ টাকা সহ মোট ২০,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া  দুইটি অভিযোগের ভিত্তিতে  জঙ্গল কালীপুরের পাহাড়ী ছরা থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং বরইতলী কাথারিয়া তে ২৫ শতক বেদখলীয় সরকারি খাস জমিও উদ্ধার করা হয়।  জনস্বার্থে প্রশাসনের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার মাহমুদুল হাসান।