এ কে এম আব্দুল্লাহ্, নেত্রকোনা ঃ এলাকায় শিক্ষা বিস্তার ও কোমলমতি শিশু-কিশোরদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে ঐহিত্যবাহী বিদ্যাপীঠ নেত্রকোনা উচ্চ বিদ্যালয়।
নেত্রকোনা সাতপাই এলাকার বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও সমাজ সেবক আলহাজ¦ মতিয়র রহমান খান এলাকায় শিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্যে ১৯৬৯ সনে নৈশ্য বিদ্যালয় হিসেবে কার্যক্রম শুরু করে। ১৯৭১ সালে নৈশ বিদ্যালয়টিকে একটি পূর্নাঙ্গ হাই স্কুলে উন্নীত করণ করা হয়। এর নাম দেয়া নেত্রকোনা উচ্চ বিদ্যালয়। প্রধান শিক্ষক হিসেবে বিদ্যালয়টির দায়িত্বভার গ্রহন করেন সায়েদুর রহমান। সেই সময় থেকে বিদ্যালয়টি অত্র এলাকার শিক্ষা বিস্তারে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সায়েদুর রহমান প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে অবসর গ্রহন করার পর বিগত ২০১১ সালের ৭ ফেব্রæয়ারী প্রধান শিক্ষকের পদে দায়িত্বভার গ্রহণ করে মোঃ নূরুজ্জামান।
তিনি দায়িত্বভার গ্রহনের পর বিদ্যালয়ের নানাবিদ সমস্যা ও অবকাঠমো উন্নয়নে নজর দেন। তিনি প্রথমেই বিদ্যালয়ের মূল মাঠের বিরোধপূর্ণ ৩৩ শতাংশ জমি মামলা নিষ্পত্তি স্বাপেক্ষে বিদ্যালয়ের সাথে অন্তর্ভূক্ত করা হয়। পরবর্তী পর্যায়ক্রমে ১২০ ফুট সীমানা প্রাচীর এবং মূল ফটক নির্মাণ করেন। তাঁর উদ্যোগেই প্রায় ১ কোটি টাকা ব্যায়ে তিন তলা ভবন এবং পূর্ব পাশে ২টি টিন সেড ঘর নির্মাণ করেন। তিনি বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপত্তায় বিদ্যালয়ের চারপাশে ১৬টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন, পরিবেশ রক্ষা ও সৌন্দর্য বর্ধনের লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরণের ফুলের বাগানের পাশাপাশি বৃক্ষরোপন করেন।
বর্তমানে বিদ্যালয়ের ৪ শতাধিক শিক্ষার্থীর জন্য ১৫ জন শিক্ষক/শিক্ষিকা ও ৫ জন কর্মচারী রয়েছেন।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলাসহ সাংস্কৃতিক চর্চায় স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে সাফল্যের স্বাক্ষর রেখে চলেছে। এর মধ্যে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জাতীয় পর্যায়ে কাবাডিতে টানা ৪ বার চ্যাম্পিয়ন, সাঁতারে একবার চ্যাম্পিয়ন ও একবার দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ নূরুজ্জামান চলতি বছরের ১১ আগষ্ট অবসরে যান। বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক হাবিউল্লাহ খান পাঠান বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব গ্রহন করেছেন।
সদ্য বিদায়ী প্রধান শিক্ষক মোঃ নূরুজ্জামান বলেন, আমি সারা জীবন ছাত্র-ছাত্রীদেরকে সু-শিক্ষায় শিক্ষিত করে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করেছি। আমি আশা করি, বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা বিস্তার ও বিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাবে।