বুধবার- ২৬শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১২ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বন্দরে কিশোর মিশুক চালক তাহসান গুমের ঘটনায় ৪জন গ্রেফতারেও কোন অগ্রগতি নেই

বন্দরে কিশোর মিশুক চালক তাহসান গুমের ঘটনায় ৪জন গ্রেফতারেও কোন অগ্রগতি নেই

বন্দর প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের বন্দরে নিখোঁজ মিশুক চালক তাহসান(১৪)এর এখনো কোন সন্ধান পায়নি পুলিশ। নিখোঁজের ৭দিনেও তাহসানের সন্ধান না পাওয়ায় তার পরিবারে চরম শংকা বিরাজ করছে। এদিকে পুলিশ এ ঘটনায় ৪জনকে গ্রেফতারপূর্বক রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও আসামীদের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত তাহসান গুমের ঘটনার তেমন কোন তথ্য উদঘাটন করতে পারেনি বলে জানিয়েছেন কিশোর তাহসানের বাবা বাবুল মিয়া। এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাব-ইন্সপেক্টর সিহাব উদ্দিনের সঙ্গে আলাপ করা হলে তিনি জানান,আসামীদেরকে ৪দিনের রিমান্ডে আনা হয়েছে রিমান্ড শেষে হয়তোবা মামলার অগ্রগতি হবে। এ প্রসঙ্গে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ এ মামলায় ইতোমধ্যে ৪জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে আশা করি অতি দ্রæততম সময়ে মামলার মোটিভ এবং বিস্তারিত তথ্য আপনাদেরকে জানাতে পারবো। এদিকে স্থানীয় সমাজ সেবক আব্দুল জব্বার জানান,তাহসানের ঘটনা নিয়ে পুলিশের তেমন কোন তৎপরতা নেই। ৪জন আসামী আমরা ধরিয়ে দিয়েছি এক্ষেত্রে তাদের কোন কৃতিত্ব নেই। পুলিশের আন্তরিকতার অভাবেই ৭দিনেও তাহসানকে জীবিত অথবা মৃত উদ্ধার সম্ভব হচ্ছেনা। আমরা নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপারসহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। সূত্র মতে, ৬আগষ্ট বিকেল ৫টায় বন্দরের জিওধরা গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে তাহসান তার ভগ্নিপতির কাছ থেকে ভাড়া নেয়া মিশুক নিয়ে ভাড়ার উদ্দেশ্যে বের হয়। এরপর সে আর বাড়িতে ফিরে আসেনি। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে পরিবারের লোকজন চিন্তিত হয়ে পরে। পরে মিশুকসহ তার ছেলেকে বালুচর তমুদরদী গ্রামের ৪ ছিনতাইকারী কর্তৃক অপহরণ করা হয়েছে বলে লোকমুখে জানতে পেরে বাবুল হোসেন বাদী হয়ে ওই ৪জনের নাম উল্লেখ করে ৯আগষ্ট রাতে বন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং ১৭(৮)২২ ধারা- ৩৬৫/৩৯৪ পেনাল কোড-১৮৬০। ওই মামলার প্রেক্ষিতেই তাহসানের পিতা বাবুল ও এলাকাবাসী গোপন সূত্রের ভিত্তিতে আসামীদেরকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। ধৃতরা হচ্ছে তমদরদী এলাকার মৃত আনসার মিয়ার ছেলে মাছুম (২৬) একই এলাকার মজিবর মিয়ার ছেলে শাহ আলম (৩২) বালুচর এলাকার আহাম্মদ মিয়ার ছেলে জিয়াবল (৩৫) ও মিরকুন্ডী এলাকার বিল্লাল হোসেন মিয়ার ছেলে হান্নান (২৮)। পুলিশ আটককৃতদেরকে গ্রেফতার দেখিয়ে উল্লেখিত মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ৭দিনের রিমান্ড প্রার্থণা করলে আদালত ৪দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

৩৪ বার ভিউ হয়েছে
0Shares

COMMENTS