প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ২৮, ২০২৪, ৫:৪৯ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ আগস্ট ১১, ২০২৪, ৫:১৫ অপরাহ্ণ
বাঘায় বিজয় উৎসবের ভাঙচুর লুটপাট, পালিয়ে বেড়াচ্ছে সাংবাদিক পরিবার
বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি : বৈষম্য-বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তোপে পদত্যাগ করেছে আওয়ামীলীগ সরকার। এঘটনার পর থেকে দেশব্যাপী উৎসবে মেতে উঠেছে আন্দোলন কারী-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। এরই মাঝে অনেক জায়গায় শুরু হয়েছে, হত্যা, অগ্নিসং যোগ, ভাঙচুর ও লুটপাট। যা থেকে রক্ষা পায়নি, বাঘা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জা মান। তিনি রাজশাহী থেকে প্রকাশিত দৈনিক সানশাইন এবং ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকা সাংবাদিক। তার অপরাধ, একমাত্র সন্তান ছাত্রলীগের রাজনীতি করে।
জানান, উপজেলার আমোদপুর গ্রামে বাঘা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক ইত্তেফাকের সাংবাদিক নুরুজ্জামানের বাড়ি। গত ৫ (আগস্ট) সোমবার বিকেলে শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগ করার পর এলাকার একটি সন্ত্রাসী বাহিনী তার বাড়ি ভাঙচুর চালাই। এরপর তারা বাড়িতে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করে। এসময় এলাকাবাসী এটি প্রতিরোধ করে। এর আগে বাড়ির সামনে মসজিদ সংলগ্ন শেখ রাসেল স্মৃতি সংঘ ক্লাবটি ভাঙচুর করে অন্য একটি গ্রুপ।
সাংবাদিক নুরুজ্জামান জানান, ওরা ৫ আগস্ট বিকেলে আমাদের বাড়িঘর ভেঙে লুটপাট করেছে। খাবার প্লেট পর্যন্ত নেই, তিনটা এসি, চারটা টিভি, দুইটা ফ্রিজ, একটা ঝাড় বাতি, দুইটা ইলেকট্রিক মিটার, দুইটা কম্পিউটার, একটা ল্যাপটপ, ১০টি রুমের জানালা-দরজা, কাপড়-চোপড়, পানির লাইন, মসজিদ ঘেঁষে মুজাইক বিশিষ্ট বাবা-মার কবরস্থান এবং বাড়ির সব লাইট-সিলিং ফ্যান, রান্নাঘর এবং বাথরুম-সহ সমস্ত ফার্নিচার ভাঙচুর করেছে। জীবনের ভয়ে আমি আমার ছেলে ও স্ত্রী এই তিনজন গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে আছি। ক্ষতির পরিমাণ হবে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা।
তিনি বলেন, আমি কোন অপরাধ খুঁজে পাচ্ছি না। আমার ছেলে ছাত্রলীগের রাজনীতি করে। আর রিপোর্ট লেখার ক্ষেত্রে যদি কখনো কারো পক্ষে-বিপক্ষ হয়ে থাকে তার জন্য হয়তোবা এই ভাঙচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে। আমি সজ্ঞানে কারো কোন ক্ষতি করিনি ।
আরও জানান, সন্ত্রাসীরা যখন আমাদের বাড়ি ভাঙচুর করতে আসে, তখন আমি খবর পেয়ে পুলিশ প্রশাসনকে অবগত করি। কিন্তু তারা আমাদের কোন সহায়তা করেনি।
Copyright © 2024 সংবাদ প্রতিক্ষণ. All rights reserved.