আজহারুল ইসলাম সাথী ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে তেল জাতীয় ফসল সরিষার চাষ বাড়ছে। কম খরচে এবং অল্প সময়ের মধ্যে ভাল লাভ পাওয়ায় সরিষা চাষের দিকে ঝুঁকছে কৃষকরা। বছরের পর বছর বাড়ছে সরিষা চাষ। কৃষি বিভাগ থেকে বিনামূল্যে বীজ, সার, উপকরণ প্রদানসহ নানা প্রনোদান, প্রশিক্ষণ প্রদান ও বিভিন্ন ভাবে উন্মুক্তকরণেন ফলে সরিষা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে কৃষকরা। গত ৫ বছরের ব্যবধানে ঘোড়াঘাটের প্রায় ১৫ গুন বেড়েছে সরিসার চাষ। এখন সরিষার হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে ফসলের মাঠ। মাঠজুড়ে নান জাতের খেতের মধ্যে কোথাও কোথাও যেন হলুদ রঙে সাজানো হয়েছে। মাঠে মাঝে বাতাসে সরিষার হলুদ ফুলের দোল খাওয়া দেখে যে কারো মন আনন্দে নেচে উঠবে। সেচ ও সার লাগে কম তা ছাড়া সরিষার পাতা একটি উৎকৃষ্ট জৈব্য সার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। তেল বীজ , মধুর পাশাপাশি কৃষকরা সরিষা থেকে উন্নত গো-খাদ্যও তৈয়রী করতে পারবে। মোঃ ফজলু রহামন বলেন সরিষা চাষে খরচ কম লাভ বেশি। উপজেলা কৃষি বিভাগ জানিয়েছেন, এবছর সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ ও ভাল ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। সরিষার বিভিন্ন প্রকারের ব্যবহার রয়েছে আমাদের দেশে। সরিষা গাছের পাতা ও ফুল ব্যবহৃত হয় স্বাস্থ্য উপকারী শাক হিসেবে। পাকা সরিষা থেকে উৎপন্ন হয় খাটি তৈল। আর শুকনো সরিষা গাছ উত্তম জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ঘোড়াঘাট উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রফিকুজ্জামান জানান,সরিষা প্রধান আবাদ হয় বেলে-দোআাঁশ মাটতে। কার্তিক-অগ্রহয়ন মাসে দু-একটি চাষ করে বা বিনা চাষেই জমিতে এ সরিষা বিজ বোপন করা যায়। ইতিমধ্যে ২৪৮ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের রবি প্রণোদোনা কর্মসূচির আওতায় ১হাজার ৫শত জন কৃষককে ১ কেজি করে সরিষা বীজ, ১০ কেজি করে ডিএপি ও ১০ কেজি করে এমওপি সার দেয়া হয়েছে। রাজস্ব কর্মসূচির আওতায় ৫০ জন কৃষককে সরিষার বীজ ও সার দেয়া হয়েছে। একই কর্মসূচির আওতায় কৃষককে ১ কেজি করে সরিষার বীজ দেয়া হয়েছে। এছাড়া তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় ২১ জন কৃষককে বীজ, সার ও বীজ সংরক্ষণ পাত্র দেয়া হয়েছে। আমন ধান কাটার পর তৈল জাতীয় বীজ প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে ১ হাজার ৫শত কৃষককে। সরিষা চাষে ৫ হাজার কৃষককে উৎসাহিত করতে বিনা মূল্যে সার ও বীজ সরবরাহ করা হয়েছে। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে গিয়ে কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দি;য়ে যাচ্ছে।