উপজেলার সবচেয়ে বড় দুটি হাট মধুখালী সদর ও কামারখালী হাটে চারা থাকলেও কৃষকদের ভিড় নেই তেমন। শুক্রবার (০৯ আগস্ট) মধুখালী হাটে এক আটি চারা ক্রয় করছেন কৃষকরা ৩’শ ৫০ টাকা থেকে ৫’শ টাকায়। আর খাজনা আদায় করছেন প্রতি আটি ২০ টাকা করে।
মধুখালী হাটে চারা বিক্রেতা জামিরুল শেখ বলেন হাটে চারার আমদানীও ব্যাপক। আমদানি থাকলেও ক্রেতা সে তুলনায় কম। এই মৌসুমে এ এলাকায় বৃষ্টি কম হওয়ায় পাট কাটতে দেরি হয়েছে। এখনো অনেক জমিতে পাট থাকায় চাষিরা ধীরে ধীরে চারা রোপন করেছে। বাজারের ইজারা সংগ্রহে থাকা মোঃ ইউসুফ ফকির বলেন, এ মৌসুমে চারার আমদানি ব্যাপক। তবে সে তুলনায় ক্রেতা কম। এবার চারা নিয়ে যারা আসছেন তা অনেক ভাল মানের হয়েছে। মধুখালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মাহাবুব ইলাহী জানান, রোপা আমনের বিরি-৮৭,৩৭,৭৫, বিনা-৭, আঠাশ সহ কয়েক জাতের ধানের চারা সাধারণত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত আবাদ করা হয়ে থাকে। বৃষ্টি কম হওয়ায় এবার চারা অনেকে দেরিতে লাগাবে। সেপ্টেম্বর (ভাদ্র মাস) ধরে রোপা আমনের চারা রোপন করতে পারবে। চলতি বছর উপজেলায় একটি পৌরসভা ও এগারটি ইউনিয়নে রোপা আমনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮হাজার ৭১০ হেক্টর জমিতে। যা গত বছর ছিল ৮ হাজার ৬৯০ হেক্টর। ক্রেতা উপস্থিতি কম বিষয়ে জানতে চায়লে তিনি জানান, অনেকে বীজতলা তৈরি করেছেন। যার ফলে চারা এ বছর বেশি ক্রেতা কম। শেষের দিকে আরও ক্রেতা বারবে বলে আশা করা যাচ্ছে।