শাহিন শিকদার বলেন, ‘ সকালে কয়েকজন নেতাকর্মী ফুল দিতে গেলে রানা ভাইয়ের সমর্থকরা তাদের কিলঘুষি ও ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়। পরে ছাত্রদলের এক ছেলেকে তুলে নিয়ে যায়। এ নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় তারা সংঘবদ্ধ হয়ে দেশিয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমাকে সমর্থন করা বিএনপির লোকজনের ওপর হামলা করে। তাদের হামলায় যুবদলকর্মী সোহেলের হাতের কব্জি পড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। তাকে রংপুরে পাঠানো হয়েছে। আরও অন্তত ৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়ে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ দল আমাকে বহিষ্কার করলেও আমি দল ত্যাগ করিনি। আমি ঘটনাস্থলে না গেলেও তারা আমার দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করে। আমাদের নেতাকর্মী সহ কয়েকজন সাংবাদিককে লাঞ্চিত করে। পরে বিকালে আবারও হামলা করে আমার বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। ’
সংঘর্ষের ঘটনায় সম্পৃক্ততার বিষয়ে উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘নিছক ছোট ঘটনা। তেমন কিছু হয়নি। আর শাহিন শিকদার বহিষ্কৃত নেতা। তার দলীয় কার্যালয় কি থাকতে পারে? আমরা কোনও কার্যালয় ভাঙচুর করিনি।’
বেশ কয়েকজন রক্তাক্ত আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রশ্নে মামুন বলেন, ‘সামান্য হাতাহাতি হয়েছে। এটা তেমন কিছু নয়।’
সাংবাদিকদের ফোন কেড়ে নেওয়ার বিষয়ে পরে স্থানীয় এক সাংবাদিক নেতার হস্তক্ষেপে যুবদল নেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন ও তার সমর্থকরা দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চান বলে জানা গেছে। পরে সাংবাদিকদের ফোন ফিরিয়ে দেওয়া হয়। তবে এ ব্যাপারে স্থানীয় সাংবাদিকরা গণমাধ্যমে নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি।
সোমবার বিকাল ৪ টায় সর্বশেষ পাওয়া খবরে উপজেলা শহরে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছিল। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুনিরুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। এমন পরিস্থিতিতে শাহিন শিকদারের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে।
ভূরুঙ্গামারী সার্কেলের দায়িত্বে থাকা সহকারী পুলিশ সুপার মো. মাসুদ রানা বলেন, ‘ রানা গ্রুপ এবং শাহিন শিকদার গ্রুপের মধ্যে গন্ডগোল হয়েছে। কয়েকজন আহত হয়েছে। অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।’