চির নিদ্রায় শায়িত হলেন লালমনিরহাটের প্রবীণ সাংবাদিক মজনু
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) ঢাকায় প্রথম নামাজে জানাজা শেষে মরহুমের লাশ সকাল ১০টায় ঢাকা থেকে রওয়ানা হয়ে লালমনিরহাটের উদ্দেশ্যে নিয়ে আসা হয়। পরে রাত ১০টায় লালমনিরহাটের সাপটানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে মরহুমের দ্বিতীয় নামাজের জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। নামাজের জানাযার আগে মরহুমের স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাব লালমনিরহাটের আহবায়ক মোঃ আনোয়ার হোসেন স্বপন, লালমনিরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র মোঃ মোশাররফ হোসেন রানা, লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আফজাল হোসেন, সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)র সাবেক সদস্য অধ্যাপক মোঃ হামিদুল হক, মরহুমের ফুফাতো ভাই রঞ্জু, ছোট ভাই মামুন, জামাতা জায়িন, পুত্র অভি প্রমুখ। এ সময় ধর্মপ্রাণ মুসল্লীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। জানাযা নামাজ শেষে লালমনিরহাট কেন্দ্রীয় করবস্থানে মরহুমের লাশ দাফন করা হয়।
মৃত্যুকালে তিনি তাঁর স্ত্রী, ১ছেলে, ১মেয়ে, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, পাড়া-প্রতিবেশীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
তাঁর মৃত্যুতে বিভিন্ন ব্যক্তি/ সংগঠন শোক প্রকাশ করেছেন। তাঁর শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন। সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি অধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম মানিক, সম্পাদক মাসুদ রানা রাশেদ, প্রকাশক রমজান আলী, নির্বাহী সম্পাদক হেলাল হোসেন কবির মরহুম মোফাখখারুল ইসলাম মজনু-এঁর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
এক শোকবার্তায় মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
উল্লেখ্য যে, আশির দশকে রংপুর থেকে প্রকাশিত দৈনিক দাবানল পত্রিকা দিয়ে মোফাখখারুল ইসলাম মজনু-এঁর সাংবাদিকতা শুরু। দীর্ঘ দিন দৈনিক দাবানলের লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক পত্রিকা এবং দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকায় কাজ করেন। তাঁর টেলিভিশন সাংবাদিকতা শুরু সিএসবি টিভিতে। এরপর দীর্ঘ দিন সময় টিভিতে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ দৈনিক সবুজ বাংলা নামের ঢাকা থেকে প্রকাশিত একটি দৈনিক পত্রিকায় কাজ করতেন তিনি। প্রবীণ সাংবাদিক মোফাখখারুল ইসলাম মজনু প্রেসক্লাব লালমনিরহাট এঁর পরপর দুবারের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। একজন সহজ সরল ও সাদা মনের মানুষ হিসেবে মোফাখখারুল ইসলাম মজনু লালমনিরহাটের মানুষের মাঝে চিরদিন বেচে থাকবেন।