রবিবার, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

দিনাজপুরের মধ্যপাড়া ও চরকাই   রেঞ্জের ১৫ কোটি টাকা হরিলুট ১ হাজারের অধিক লট উন্মুক্ত পূণঃ টেন্ডারের দাবিতে ব্যবসায়ীদের গন আবেদন

দিনাজপুরের মধ্যপাড়া ও চরকাই রেঞ্জের ১৫ কোটি টাকা হরিলুট ১ হাজারের অধিক লট উন্মুক্ত পূণঃ টেন্ডারের দাবিতে ব্যবসায়ীদের গন আবেদন

১৮ Views

বিশেষ প্রতিনিধি : দিনাজপুর  বন বিভাগের চরকাই  ও মধ্যপাড়া রেঞ্জের   প্রায় এক হাজারের অধিক  লট আওয়ামী লীগ দলীয় নির্দেশায়  গোপন সমঝোতার মাধ্যমে বিক্রির নামে সাধারণ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে প্রত্যারিত করার অভিযোগে   বিতর্কিত টেন্ডার বাতিল করে  পূনঃরায় উন্মুক্ত টেন্ডারের দাবি জানিয়ে প্রধান বন সংরক্ষক .  বিভাগীয় বন কর্মকতা  সহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে গন আবেদন করেছেন  ভুক্তভোগী  ব্যবসায়ীরা।  সেই সঙ্গে টেন্ডার সমঝোতা বানিজ্যের নেপথ্যের অপরাধী চক্র কে চিন্হিত করে কঠোর শাস্তির আওতায় আনার দাবি করেছেন  এলাকাবাসী।  চরকাই রেঞ্জের  বন  কর্মকর্তা নিশিকান্ত মালাকারের অপ্রতিরোধ্য  লাগাম হীন দূর্নীতি  এবং মধ্যপাড়া রেন্জার উজ্জ্বল হোসেনের প্রত্যক্ষ সহায়তায়  চলছে দূর্নীতির মহোৎসব ।  গত ৩১ জানুয়ারী /২৪ ইং  দরপত্র নং ২৯অব ২০২৩-২৪  মুলে   হাজারের অধিক   লট বিক্রির দরপত্র আহ্বান করে দিনাজপুর বন বিভাগ।   অথচ   কয়েক জন চিন্হিত দালাল ব্যবসায়ীর  সঙ্গে আতাত করে  সিন্ডিকেটের মাধ্যমে উন্মুক্ত টেন্ডার না দিয়ে  গোপন সমঝোতায় চরকাই   রেন্জ অফিসার নিশিকান্ত মালাকার  ও মধ্যপাড়া বন বিভাগের  রেন্জ অফিসার উজ্জ্বল হোসেন  দিনাজপুর বন   অফিসের কতিপয় অসাধু  কর্মচারী  এবং     সংঘবদ্ধ কাঠ চক্রের হোতা  আওয়ামী লীগ দলীয় পরিচয়ে অবৈধ সুবিধা আদায়কারি ব্যবসায়ী   মধ্যপাড়ার   মোস্তাফিজার রহমান মোস্তা একই এলাকার     আবু সিদ্দিক মোঃ রাসেদ জাইদুল হক    সাধারন ব্যাবসায়ীদের  জিম্মি ও বঞ্চিত করে  করে প্রায় ১৫ কোটি টাকার বানিজ্য করেছে  বলে স্হানীয় ব্যবসায়ীরা  লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন।  এতে  উপকার ভোগী পরিবার গুলো যেমন ক্ষতি গ্রস্হ হয়েছে  তেমনি সরকার হারিয়েছে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব। দিনাজপুর ৬ আসনের সদ্য ক্ষমতা চ্যুত সাংসদ সদস্য শিবলী সাদিকের অবৈধ ক্ষমতার দাপটে  দীর্ঘ ১৫ বছর থেকে  মধ্যপাড়া ও চরকাই রেঞ্জে চলছে  পুকুর চুরির মহোৎসব।  গত ৫ আগষ্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনে বুকের তাজা রক্তে অবৈধ হাছিনা সরকারের পতন এবং  স্বৈরশাসক পালিয়ে গেলেও  তার দোসররা এখনো সক্রিয় আছেন।   বন বিভাগের কাঠ ব্যবসা করতে গিয়ে  সমঝোতা নামক প্রত্যারনার ফাদে প্রত্যারিত ব্যবসায়ী মোয়াজ্জেম  হোসেন  আলফাজ হোসেন আব্দুর রাজ্জাক   সাহাজুল হক  দেলোয়ার হোসেন  আজমল হক   সাইদার রহমান ও মেনহাজুল হক  সহ অনেক ব্যবসায়ী গোপন সমঝোতার তীব্র প্রতিবাদ সহ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন  টেন্ডারের নামে  নাটক  করেছে চিন্হিত  কয়েকজন দালাল বহুরূপী ব্যবসায়ী । আমরা এই টেন্ডার বাতিল করে পূণঃ উন্মুক্ত টেন্ডারের জোর দাবি জানাচ্ছি।  ওরা আওয়ামী লীগ দলীয় পরিচয়ে একটা সিন্ডিকেট গড়ে তুলে   দীর্ঘ  ১৫ বৎসর হতে যা করছে  তা পুরোপুরি  সাধারণ ব্যবসায়ীদের পেঠে লাথি মারার সামিল।  রাশেদ সিদ্দিক  মোস্তা গং রা এলাকার ব্যবসায়ীদের স্বার্থ বিবেচনা না করে তাদের দলের নেতাদের পদলেহন করেছে পক্ষান্তরে  আমাদের কে সর্বশান্ত করেছে।  আওয়ামী লীগ দলীয়  দাম্ভিকতায় বিনা টেন্ডারে জেলা পরিষদের  ২০ লক্ষ টাকা গাছ  কেটে এনে নিজেরাই আত্মসাৎ করেছে।  বিগত বছরগুলোর টেন্ডারের নথি পত্র যাচাই করলেই   বেরিয়ে আসবে সিন্ডিকেট সদস্যরা প্রতিজন কি পরিমান  সুবিধা হাতিয়ে নিয়েছেন।   অপর দিকে  বিরামপুরের চরকাই  রেন্জের  ৯ শতাধিক ও মধ্যপাড়া রেন্জের ১০৪ মোট এক হাজারের অধিক  লট হরিলুটে   শিবলী সাদিকের নিকট জন পরিচয় দিয়ে বিরাম পুরের (  আফতাব গন্জ ডিগ্রী কলেজের) মানিক প্রফেসার  রংপুরের  পীরগন্জ কলোনী বাজারের আসাদুজ্জামান নবাব গন্জের স্কেল ব্যবসায়ী এনামুল হক    মোট লটের ৪০% বাছাই কৃত সৌখিন লট সমুহ বিবিধ খরচ ছাড়াই   সংরক্ষিত করে রাখে এবং বাকি দূর্বল লট গুলো  ইচ্ছে মতো বন্টন করা হয়। শুধু তাই নয় সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেট সদস্যরা ইচ্ছে মতো  টেন্ডার ছাড়াই  টলি  বোঝাই করে প্রতিদিন বিভিন্ন বন বাগান থেকে কাঠ কর্তন করে কাঠ ফিল্ডে স্তুপ করেছে।   স্হানীয় কয়েকজন কাঠ ব্যবসায়ী অভিযোগ করে বলেন করোনা কালীন সময়ে রাশেদ সিদ্দিক গং রা  কয়েক কোটি টাকার প্রায় সাড়ে তিন শতাধিক জাল বিডি তৈরি করে সোনালী ব্যাংকের হাতে ভূয়া প্রমানিত হয় এবং  গনমাধ্যমে ভূয়া বিডি তৈরি করে  প্রত্যারনা সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে তাদের কে কালো ব্যবসায়ীক তালিকা ভুক্ত করেছিল বন বিভাগ।  শুধু আওয়ামীলীগ  দলিয় প্রভাব কে কাজে লাগিয়ে  আবারো অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে চক্রটি। সময়  এসেছে  দালাল সিন্ডিকেট ভেঙে এদের কে আইনের আওতায় আনতে হবে ।  সাম্প্রতিক সময়ে   নিশিকান্ত মালাকার  ব্যাক ডেড দিয়ে টাকা জমা দেখিয়ে   সমঝোতার লট গুলো কর্তনের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন। রাষ্ট্রের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি এবং সকল কাঠ ব্যবসায়ীদের স্বার্থসংরক্ষন সহ উপকার ভোগী পরিবার গুলোর  ন্যায্য প্রাপ্যতার দিগ বিবেচনায় নিয়ে যে কোন মুল্যে  নিকো টেন্ডার বাতিলের দাবি উঠেছে।   রাশেদ মোস্তা সিদ্দিক  সিন্ডিকেট  মুলত  আওয়ামী লীগের ব্যানারে এলাকাবাসীকে জিম্মি করে  সাবেক এমপি শিবলী সাদিক এবং  পার্বতীপুরের সাবেক মেয়র আমজাদ হোসেনের  নামে    অনেক অনৈতিক সুবিধা নিয়েছে।  দুনেতা  সরকার পতনের  পর আত্বগোপনে গেলেও   নতুন  মোড়কে নিজেদের  বিএনপি পন্হি হিসাবে  আত্মপ্রকাশ  করার চেষ্টা করছেন  এদের অনেকেই। তাদেরকে   অনৈতিক তদবিরে সহায়তায় অগ্রনী ভুমিকা রেখেছেন  রেঞ্জ অফিসার উজ্জ্বল হোসেন  সহ একের পর এক  দূর্নীতি করে  দূর্নীতির স্বর্গরাজ্যে বাস করা   নিশিকান্ত মালাকার।  লট বানিজ্য থেকে  নানাবিধ অবৈধ উপার্জনের প্রতিবাদ করতে গিয়ে  মধ্যপাড়ার সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুর রফিক এর ছেলে বিশিষ্ট কাঠ ব্যবসায়ী মোঃ সাইমুল হক রেঞ্জ অফিসার নিশিকান্ত মালাকারের রোষানলে পড়ে অন্যায় ভাবে মিথ্যা বন মামলায় হয়রানি শিকার হচ্ছেন। টেন্ডারে  লট না পাওয়া সত্বেও সর্ব শেষ সার্টিফিকেট মামলা নং ১০৩/২৩-২৪ কাঁধে নিয়ে আদালতের বারান্দায় দৌড় ঝাপ করতে হচ্ছে। ইতিপূর্বে ও তিনি ১৪ টি বন মামলায় আসামি হয়ে  আদালতের মাধ্যমে নির্দোষ প্রমানিত হয়েছেন। সচেতন মহল ও এলাকাবাসী মনে করেন দেশের সব সেক্টরে সংস্কার শুরু হয়েছে তারই ধারাবাহিকতায় বনবিভাগেও সংস্কার শুরু করা হোক। আওয়ামী লীগ দলীয় পরিচয়ে রক্তচোষাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। 

Share This

COMMENTS