নারী পাচারকারীদের ফাঁদে পড়ে ৩ মাস ধরে ঘরছাড়া ৪ সন্তানের জননী রীনা
স্টাফ রিপোর্টার: নারী পাচারকারী চক্রের পাঁতা ফাঁদে পড়ে সাড়ে ৩ মাস ধরে ঘর ছাড়া হয়েছেন ৪সন্তানের জননী রীনা বেগম(৪২)। সম্প্রতি এ ঘটনার বর্হিঃপ্রকাশ ঘটে বন্দরের মদনগঞ্জ ইসলামপুর এলাকায়। দীর্ঘ দিনেও স্ত্রী’র সন্ধান না পেয়ে স্বামী জাকির হোসেন মাদবর বাদী হয়ে সম্প্রতি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। ডায়েরী করেও কোন প্রতিকার না পেয়ে প্রায়ই দিশেহারা হয়ে পড়েছেন অসহায় এই ভুক্তভোগী। বাদী জাকির হোসেন জানান, ২৬ বছর পূর্বে সুদূর মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদীখান থানাধীন ইছাপুরা গ্রামের জনৈক নূর ইসলাম হাওলাদারের মেয়ে রীনা বেগমকে সামাজিকভাবে বিয়ে করেন। বিয়ের ২৬ বছরে তাদের সংসারে দু’টি পুত্র ও দু’টি ফুটফুটে কণ্যা সন্তান জন্ম নেয়। এরই মধ্যে তার গ্রামের বাড়ি ইছাপুরার লোকমান হোসেনের মেয়ে মাহমুদা বেগম গত ৫ জুন তার স্ত্রী রীনা বেগমকে ফুসলিয়ে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তার স্ত্রী নিখোঁজ থাকে। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান না পেয়ে স্বামী জাকির হোসেন বাধ্য হয়ে স্থানীয় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। জাকির হোসেন মাদবর জানান, মাহমুদা নারী পাচারকারী সিন্ডিকেটের সক্রিয় সদস্য জনৈক সৌদী প্রবাসী শাহিন আলম ওরফে মনির হোসেনের ছত্রছায়ায় দীর্ঘ দিন ধরে বাংলাদেশ থেকে নারীদেরকে পাচার করে থাকেন। শাহিন আলম মূলতঃ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নাম্বার ব্যবহার করে থাকেন। কখনো শাহিন আলম কখনো বা আবার মনির হোসেনসহ বিভিন্ন ছদ্দনাম ব্যবহার করেন। তাদের ব্যবহৃত বেশ কয়েকটি ইমু এবং হোয়াসঅ্যাপ নাম্বারও সংগ্রহ করা হয়েছে। নাম্বারগুলো হচ্ছে যথাক্রমে: +৯৬৬৫৭৬৭২৫৫৯৫,+৯৬৬৫৭৩৬২৪৯২৫,০১৭০০৫২২৭৬১। এই চক্রের সঙ্গে রীনার বড় বোন সুদূর যশোহরের নড়াইল জেলার হবোখালি ইউনিয়ন এলাকার আলিম মিয়ার স্ত্রী। ভয়ংকর চক্রের পাঁতা ফাঁদে পড়েই আমার স্ত্রী রীনা বেগম ঘরছাড়া রহয়ছেন। বিশাল এই চক্রটি হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইমু’র মাধ্যমে গ্রæপ চ্যাটিং করে তাদের এসকল অপকর্ম পরিচালনা করেন। র্যাব-পুলিশের গোয়েন্দা টীম গুরুত্ব সহকারে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করলেই চক্রটিকে ধরা খুবই সহজ ব্যাপার বলে আমি মনে করি। আমি আমার স্ত্রীকে ফিরে পেতে প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।