
সেনবাগে নৌকার নিবাচনী অফিসে হামলা-ভাংচুর দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার

মোঃ জাহাঙ্গীর আলম শায়েস্তানগরী নোয়াখালীপ্রতিনিধি : কাল ১৫ জুন অনুষ্ঠিতব্য সেনবাগে তিনটি ইউপি নির্বাচনে সেনবাগ উপজেলার ৭নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফিরোজ আলম ভূঁইয়া রিগানের দুটি নির্বাচনী অফিসে হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।এবং ২নং কেশারপাড় ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী আনারস মার্কার প্রার্থী আবু বক্কর ছিদ্দিক ভূঁইয়ার বাড়ির নিকটে একটি ঝোপ থেকে পরিত্যাক্ত অবস্থায় বস্তাভর্তি চারটি চাপাতি, দুটি কিরিচ, দুটি স্টিলের পাইপ, চারটি লোহার রড ও চারটি লাঠি উদ্ধার করা হয়েছে।
বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।সোমবার দিবাগত রাত ৩টারদিকে সেনবাগ উপজেলার ৭নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদপুর ও ৪নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ রাজারামপুর গ্রামের নৌকার ওই দুটি নির্বাচনী অফিসে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনাটি ঘটেছে।
নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী ফিরোজ আলম ভূঁইয়া রিগান ওই হামলার ঘটনাটি জন্য জামায়াত সমর্থিত রজনীগন্ধা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল খায়েরকে দোষারোপ করেন করে জানান, আবুল খায়েরের নির্দেশে তার সমর্থকরা নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট ও আতঙ্ক সৃষ্টি করতে তার নৌকা মার্কার অফিসে রাতের অন্ধকারে হামলা করে ভাংচুর লুটপাট করে লুটপাট চালায় বলে অভিযোগ করে। তিনি আরো জানান তার ওই নির্বাচনী অফিস দুইটি জামায়ত সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর বাড়ি সংলগ্ন ।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জামায়াত সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল খায়ের বলেন,আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী, আমি জামায়াত সমর্থিত কোন প্রার্থী নয়। আমাকে জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী বলে হয়রানি করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত আমার ওপর একাধিকবার হামলা করা হয়েছে। নৌকার প্রার্থীর লোকজন বাড়ি বাড়ি গিয়ে আমার লোকজনকে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। তারাই আমার বাড়ির পাশ্ববর্তী তাদের নির্বাচনী দুটি অফিস ভেঙ্গে আমাদের ওপর দোষ চাপাচ্ছে।
অপরদিকে কেশারপাড় ইউনিয়নের আনারস মার্কার স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু বক্কর ছিদ্দিক ভূঁইয়া তার বাড়ির নিকটের ঝোপ থেকে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়ে বলে তার জনপ্রিয়তায় ভিত হয়ে তার প্রতিপক্ষ তাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য অস্ত্র উদ্ধারের নাটক করছে বলে অভিযোগ করেন।
এব্যাপারে সেনবাগ উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও রির্টানিং কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম এ ধরনের একটি ঘটনা মৌখিক ভাবে তাকে অবহিত করেছে বলে নিশ্চিত করেন।
সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইকবাল হোসেন পাটেয়ারী জানান, নৌকার প্রার্থীর নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত কোন অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে প্রযোজনীয় আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এছাড়াও কেশারপাড় থেকে বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।