ইসাহাক আলী, নাটোর, ১৫ মে- নাটোরে সিংড়ার কালিনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩টি শ্রেণী কক্ষে প্রায় ১০দিন থেকে ধান শুকাচ্ছেন পাশের উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা। গত ৬মে থেকে কালিনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা কোহিনূর পারভীন। ওসব কক্ষের শিক্ষার্থীদের বসার ব্রেঞ্চে একটি আরেকটির উপর রেখে ধান শুকাচ্ছেন তিনি।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, বেশ কিছুদিন ধরেই বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষে শুধু ধান শুকাচ্ছেনই না প্রধান শিক্ষিকা ওই কক্ষে কয়েক বস্তা ধান রেখে ক্লাস করাচ্ছেন।

স্কুলের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মারুফ জানান, আমি গত ৭ তারিখ থেকেই ৩টি কক্ষে ধান রাখা দেখেছি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধান রাখার কারণে আমাদের এই রুমে ক্লাস করতে সমস্যা হচ্ছে।

কালিনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন বলেন, আমাদের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মিত নতুন ভবনে শিফটিং হওয়ায় করোনা কালীন সময়ে আমাদের পুরাতন ভবনে উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্লাস করানোর জন্য আমার কাছ থেকে শ্রেনী কক্ষের চাবি নেয় উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা কোহিনূর।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত কালিনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কোহিনূর পারভিন বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে শ্রেণী কক্ষের তিনটি পরিত্যক্ত রুমে আমি ধান রেখেছি। আবহাওয়া অনুকূলে আসলে ধান সরিয়ে নেবো।

কলম ইউপি চেয়ারম্যান মঈনুল হক চুনু বলেন, অত্র প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা আমার নিকট জানালে আমি সত্যতা যাচাইয়ের জন্য লোক পাঠাই। ঘটনার সত্যতা পেয়ে আমি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কে অবগত করেছি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম সামিরুল ইসলাম বলেন, আমি তথ্য পেয়ে উপজেলা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদেরকে সত্যতা যাচাই করে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছি।