রবিবার- ১৩ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ -৩০শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ English Version

লালপুর থানা থেকে ছিনিয়ে নিয়েও শেষ রক্ষা হলো না ছাত্রদল নেতার- রুবেল সহ গ্রেপ্তার ৪

লালপুর থানা থেকে ছিনিয়ে নিয়েও শেষ রক্ষা হলো না ছাত্রদল নেতার- রুবেল সহ গ্রেপ্তার ৪

নাটোর প্রতিনিধি  ;: নাটোরের লালপুরে জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুবেল উদ্দিনকে থানা থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার পর অভিযান চালিয়ে তাকে সহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে যৌথবাহিনী।
আজ দুপুরে লালপুর থানাধীন ২নং পুরাতন ঈশ্বরদী এয়ারপোর্ট মোড় থেকে লালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ম নাজমুল হক এবং অফিসার ফোর্স অভিযান পরিচালনা করে আটক করেছেন। রুবেল উদ্দিন লালপুর উপজেলার গৌরিপুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।
এছাড়া গত রাতে লালপুর উপজেলার নিজ নিজ বাড়ি থেকে দুই নারী সহ তিনজনকে আটক করা হয়। এর আগে গতরাতেই আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ৩৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ।
লালপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে লালপুর থানা থেকে রুবেল কে ছিনিয়ে নেয় বিএনপি’র নেতাকর্মীরা।
আটকরা অন্যান্যরা হলেন— রুবেল উদ্দিনের বোন রুপা খাতুন (২৫), ফারজানা ইয়াসমিন বৃষ্টি (২০) ও কদিমচিলান ইউনিয়নের বাসিন্দা ও যুবদল নেতা মাসুদ রানা।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ ডিসেম্বর বাগাতিপাড়া উপজেলায় বিএনপি নেতার বাড়িতে গুলি বর্ষণের ঘটনায় মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে রুবেলকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ফারজানা সারমিন পুতুলেরর সমর্থকরা থানায় এসে গ্রেফতার রুবেলকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য পুলিশকে চাপ দেয়। এ সময় পুলিশ ছেড়ে দিতে অসম্মতি জানালে একপর্যায়ে হট্টগোল করে থানা থেকে তাকে জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যায় নেতাকর্মীরা।
এবিষয়ে নাটোর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ফারজানা সারমিন পুতুল বলেন,‌‍ পুলিশ আমাকে ফোন করে জানায় যে, আপনার সমর্থকরা থানা থেকে আসামি ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। আমি বলি কিভাবে আসামি ছিনিয়ে নিয়ে গেল? পুলিশ কোথায় ছিল? এসপি এবং ডিআইজিকে বলেছি দ্রুত আসামিকে গ্রেফতার করতে। স্থানীয় পুলিশ সদস্যরা আমাকে জানায় ওসির সহযোগিতা ছাড়া আসামি ছাড়িয়ে নেওয়া সম্ভব নয়।
পুতুল আরও বলেন, যারা বিএনপির নাম ব্যবহার করে এই কাজ করেছে। ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি। পাশাপাশি বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের ঊর্ধ্বতন নেতাদের প্রতি এসব দুষ্কৃতকারীর বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করছি।
নাটোরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আমজাদ হোসাইন বলেন, আটকের পর থানার ভিতরে ছাত্রদলের কিছু লোকজন এসে পুলিশের কাছ থেকে আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় পুলিশের কোনো গাফলতি আছে কি না তা তদন্ত করা হচ্ছে। এবং আসামি ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় যৌথবাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এই ঘটনায় ৩৫ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে গতরাতে লালপুর থানায় মামলা করা হয়েছে।
নাটোর সদর থানার ওসি মাহবুবুর রহমান জানান, আসামিদের তিনজনকে নাটোর থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে লালপুর থেকে মামলার কাগজপত্র আসলে তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে। We
বার ভিউ হয়েছে
0Shares

COMMENTS