বুধবার- ৯ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ -২৬শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ English Version

রূপসায় মহিলা মেম্বরের অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় আশ্রয়ন প্রকল্পের এক নারীকে মারপিট

রূপসায় মহিলা মেম্বরের অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় আশ্রয়ন প্রকল্পের এক নারীকে মারপিট

রূপসা প্রতিনিধি : প্রতিনিয়ত অন্যায়ভাবে টাকা নেওয়ার ঘটনায় মহিলা মেম্বর লিপিকা রানী দাসের বিরুদ্ধে ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট নালিশ করার জের ধরে রূপসার নেহালপুর আশ্রয়ন প্রকল্পের রাবেয়া বেগম নামের এক নারীকে বেধড়ক মারপিট করা হয়েছে। ১৯ মে সন্ধ্যা ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহত রাবেয়া বেগম খুলনা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এদিকে হামলা ঘটনা ধামাচাপা দিতে হামলাকরীদের ভর্তি করা হয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।

এদি‌কে মিনারা না‌মের এক নারীকে আশ্রয়ন প্রক‌ল্পের ঘর পাই‌য়ে দেওয়ার কথা ব‌লে ১৯ হাজার টাকা ও একভরি পাচ আনা স্বর্ণালংকরা নেওয়ার ঘটনায় ওই নারী গত ১৬ মে লি‌পিকার বিরু‌দ্ধে উপ‌জেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লি‌খিত অভি‌যোগ ক‌রেন।

আহত রাবেয়ার স্বামী নেহালপুর বøাড ব্যাংকের ডোনার দিন মজুর মোঃ আল মামুন জানায়, ১৮ মে নৈহাটী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন বুলবুল নৈহাটী কালীবাড়িতে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভা করতে যান।

এসময় নেহালপুর আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দা লাখি চেয়ারম্যানকে জানায় মহিলা মেম্বর লিপিকা রাণী দাস বিভিন্ন সময় তাদের কাছে অন্যায়ভাবে টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর থেকে নামিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।

এ ঘটনার জের ধরে মহিলা মেম্বরের কথিত ম্যানেজার সাথী ও তার মাসহ অন‌্যান‌্য সহযোগীরা লাখি ও রাবেয়াকে অশ্লীল ভাসায় গালিগালাজ করতে থাকে। একপর্যায়ে দুপুরে নৈহাটী ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে ভুক্তভোগীরা চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানিয়ে ফিরে আসে আশ্রয়ন প্রকল্পে।

এতে লিপিকার সহযোগীরা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। অবশেষে তারা ৭/৮ জন জোট বেধে সন্ধ্যায় রাবেয়ার উপর আতর্কিত হামলা চালায়। স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে রাবেয়াকে উদ্ধার করে খুলনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

আল মামুন আরো জানায়, ঘর পাওয়ার পূর্বে নারী নেত্রী লিপিকার কাছে কাগজ জমা দিতে গেলে তাকে এক হাজার টাকা দিতে হয়। ঘর পাওয়ার পর আল মামুন লিপিকার কাছ থেকে টাকা আদায় করে নেয়। পরবর্তীতে ইউপি নির্বাচনে লিপিকা মহিলা মেম্বর নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে প্রতি মাসে নানা অজুহাতে মামুনসহ ১১টি ঘর থেকে মাসোহারা আদায় করতে থাকে। এই কাজে সহযোগীতা করতো লিপিকার কথিত ম্যানেজার সাথী ও তার মা। এসব কাজে প্রায় প্রতিবাদ করতো মামুন। এ কারণে মহিলা মেম্বরের রোশানলে পড়ে সে।

১৯ বার ভিউ হয়েছে
0Shares

COMMENTS