
রাজশাহীর বাঘায় এক যুবকের বিরুদ্ধে যৌনক্রিয়ার অভিযোগ

কাজী এনায়েত, রাজশাহী অফিসঃ
রাজশাহী জেলার বাঘায় এক যুবকের বিরুদ্ধে যৌনক্রিয়ার অভিযোগ উঠেছে। একটি প্রাণীর প্রতি অনুরক্ততা থেকেই প্রাণীর সাথে যৌনক্রিয়ার। মালিকের দাবি সেই যুবক পশুকে কষ্ট দিয়ে যৌন সুখ লাভ করেছে। তবে যুবকের দাবি এটি একটি সাজানো নাটক।
বিষয়টি নিয়ে জনপ্রতিনিধি, গ্রাম্য মাতব্বরদের কাছে দেন দরবারের পর থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। মালিক আবু সালাম বাদি হয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার চরাঞ্চলের চকরাজাপুর ইউনিয়নের পলাশিফতেপুর গ্রামে। এনিয়ে এলাকায় আলোচনা সমালোচনা চলছে।
মালিক আবু সালাম জানান, গত মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) তার একটি ছাগল বাড়ির পাশের ক্ষেতে ছিল। দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে ছাগলের চিৎকার শুনে, তার মেয়ে সাবিনা খাতুন ছুটে যায়। সেখানে তার যাওয়া দেখে পাশের বাড়ির বিপ্লব হোসেন (২৫) ক্ষেত থেকে বেরিয়ে যায়। পরে দেখে ছাগলটি মাজা কুঁচকায়ে কুঁচকায়ে ভ্যাবাচ্ছিল আর যৌননালি দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল। ছাগলের অবস্থা আর ধঞ্জার ক্ষেতের মধ্যে থেকে বিপ্লব হোসেনকে বের হয়ে যাওয়া দেখে, সম্ভবত কারনেই তার ধারনা জন্মেছে বিপ্লব হোসেন ছাগলের সাথে অনৈতিক কার্যকলাপে লিপ্ত হয়েছিল। পরে বিষয়টি স্থানীয় মেম্বর ও ইউপি চেয়ারম্যানকে জানান আবু সালাম। তিনি বলেন, স্থানীয়ভাবে কোন সুরাহা না হওয়ায় থানায় অভিযোগ করেছেন।
বিপ্লব হোসেনের দাবি, ইউপি নির্বাচনে আবু সালামের কথা মতো ভোট না দেওয়ায় মতবিরোধ হয়। এখন মিথ্যা অভিযোগ এনে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। তিনি আবু সালামকে মাদক ব্যবসায়ী বলে দাবি করলেও আবু সালাম সেটি অস্বীকার করে বলেন, নিজের অপরাধ ঢাকার জন্য সে এখন অনেক কিছুই বলতে পারে। তবে আমি মিথ্যা কোন অভিযোগ করিনি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান শিশির জানান, বিষয়টি জানার পর স্থানীয়ভাবে মিমাংসার চেষ্টা করে পারিনি। একই কথা বলেছেন ইউপি চেয়ারম্যান ডিএম মনোয়ার হোসেন বাবুল দেওয়ান। উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ রোকনুজ্জামান বলেন, পরীক্ষার জন্য পুলিশ সহযোগিতা চাইলে আমি সেটি করবো।
এ বিষয়ে বাঘা থানার ইনচার্জ (তদন্ত) আব্দুল করিম বলেন, অভিযোগ তদন্তের জন্য একজন অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রমানিত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে বিষয়টি সিনসেটিভ। অভিযোগ তদন্তকারি অফিসার এসআই সাবদুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থল এলকায় যাওয়ার পর, বিপ্লবকে পাওয়া যায়নি। তবে তদন্ত চলছে।