মঙ্গলবার- ৮ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ -২৫শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ English Version

রাখে আল্লাহ মারে কে? সেনবাগের ঝোপ থেকে নবজাতক উদ্ধার

রাখে আল্লাহ মারে কে? সেনবাগের ঝোপ থেকে নবজাতক উদ্ধার

মোঃ জাহাঙ্গীর আলম শায়েস্তানগরী,নোয়াখালী প্রতিনিধি : রাখে আল্লাহ মারে কে ?। সেনবাগের নবীপুর ইউপির নলদিয়া গ্রামে এক পাষুন্ড মা তার সদ্য প্রসুত এক নবজাতক ছেলেকে ঝোপের মধ্যে ফেলে রেখে চলে যায়। রেখে যাওযা শিশুটি পিপড়া ও পোকা মাকড়ের কামড়ে ক্ষতবিক্ষত করে। এসময় অবুঝ শিশুটি পিপড়াঁ পোকা মাকড়ের কামড় সহ্য করতে না পেয়ে কান্না করতে শুরু করে। এসময় ঝোপের মধ্যে শিশুর কান্না শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে। এসময় এলাকাবাসী উদ্ধার করা শিশুটিকে লালন পালনের তুলে দেন ওই এলাকার আব্দুল মাঝির বাড়ীর বাসিন্দা নিঃসন্তান রিকশাচালক ওবায়দুল হক (৩৮) ও রিনা (৩০) দম্পতির কোলে। শিশুটি বর্তমানে পরম যতেœ ঠাই লালিত পালিত হচ্ছে। স্থানীয়দের ধারনা কোন মায়ের গর্ভে অবৈধ ভাবে জন্ম নেওয়ার কারনে সমাজের ভয়ে ছেলেটিকে ওই ঝোপের মধ্যে ফেলে রেখে যায়। এলাকাবাসী বলছে ওই মা শিশুটিকে ঝোপের মধ্যে ফেলে রেখে যাওয়ায় তার জীবনের ঝুকি ছিলো। কিন্তু রাখে আল্লাহ মারে কে।

জানাগেছে, গত ৩০ এপ্রিল বিকেল ৫টার দিকে সেনবাগ উপজেলার ৯নং নবীপুর ইউনিয়নের নলদিয়া গ্রামের মিয়াজন সারেং বাড়ী সংলগ্ন একটি ডোবার পাড়ে বাঁশঝাড় ও লতা-পাতায় ঘেরা ঝোপের মধ্যে ওই নবজাতক ছেলে শিশুটির কান্নার শব্দ পায় স্থানীয় লোকজন। এরপর স্থানীয় এলাকাবাসী এগিয়ে এসে ওই নবজাতককে উদ্ধার করে । খবর পেয়ে সেনবাগ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।

নোয়াখালী পুলিশ সুপার (এসপি) শহীদুল ইসলাম নবজাতক উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান,বাচ্চাটি বর্তমানে মোটামুটি সুস্থ রয়েছে।। তবে তার শরীরের একাধিকস্থানে পোকামাকড়ের কামড়ের দাগ ও জন্মগত ক্ষত চিহ্ন দেখা যায়। পরিপ‚র্ণ সুস্থতার জন্য তাঁর সুচিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে। এসপি আরো জানায়,নবজাতক শিশুটির প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করে নিঃসন্তান রিকশাচালক ওবায়দুল হক (৩৮) ও রিনা (৩০) দম্পতির হেফাজতে দেওযা হয়েছে। ওই দম্পত্তি বাচ্চাটির নাম রাখেন সাখাওয়াত আহমেদ আরিয়ান। তারা শিশুটি পেয়ে দারুন খুশি। বর্তমানে পরম যতেœ তারা শিশুটিকে লালন পালন করছে। শিশুটিকে এক নজর দেখার প্রতিদিন তাদের বাড়িতে অসংখ্য লোকজন ভিড় করছে।

৫০ বার ভিউ হয়েছে
0Shares

COMMENTS