রবিবার- ১৩ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ -৩০শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ English Version

<span class="entry-title-primary">ভোলা-দৌলতখানের চরবাসি চকেট জামাল আতংক-১</span> <span class="entry-subtitle">মহিষ আটকিয়ে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপন আদায় অভিযোগ</span>

ভোলা-দৌলতখানের চরবাসি চকেট জামাল আতংক-১ মহিষ আটকিয়ে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপন আদায় অভিযোগ

ভোলা প্রতিনিধি ;: ভোলা সদর ও দৌলতখান উপজেলার মাঝের চরের গরু-মহিষের মালিক ও রাখালের,বাপ্তা ইউনিয়নের চৌদ্দ ঘর এলাকার আওয়ামীলীগের ক্যাডার. হত্যাসহ একাধীক মামলার আসামী, কুখ্যাত জল ও ভুমি দস্যু চকেট জামাল আতংকে রয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার দোষর হয়ে পিছন থেকে তাকে সহায়তা করছেন মদনপুর ইউনিয়নের দায়ীত্বে থাকা ছাত্রলীগ ক্যাডার এক এস আই।
মহিষের মালিক ও রাখালদের অভিযোগে জানা গেছে,তিনি সম্প্রতি মাঝের চরের নেয়ামতপুর মহিষের রাখাল, ভোলার খাল এলাকার জুয়ের এবং আলেকজ্যান্ডারের রনি এবং দৌলতখানের বশির মেন্বারের ২০০ মহিষ চর থেকে তুলে নিয়ে চকেট জামাল একটি কিল্লার মধ্যে দির্ঘদিন আটকিয়ে রাখেন। তারা এদিক সেদিক খোজা খুজির পরে-চকেট জামাল একটি কিল্লায় (আস্তানা) মহিষ গুলো আটকিয়ে রাখার খবর পান। যে আস্তানায় যাওয়া বড় দুস্কর। বশির মেন্বার জামালের কাছে তার মহিষ চাইলে, জামাল মহিষ দিতে অস্বিকৃতি জানান। পরে বশির মেন্বার দৌলতখান থানায় জিডি করে ওসির মধ্যস্থতায় তার মহিষ উদ্ধার করেন। অপর দুই রাখাল জুয়েল আর রনি দির্ঘদিন ঘুরে চকেট জামালের সাথে সমঝোতার মাধ্যমে (১০+৫=) ১৫ লাখ টাকা মক্তিপন দিয়ে মহিষ ছাড়িয়ে নেন। তারা মহিষ পেয়ে ওই চর থেকে চলে যান। এখন ভোলা-দৌলতখানের চরবাসি গরু-মহিষ নিয়ে চকেট জামাল আতংকে দিন কাটাচ্ছেন বলে চরের কয়েকজন রাখাল জানান। চরের কারো গরু-মহিষ আটকালে কেউ যদি জামালের বিরুদ্ধে বা গরু-মহিষের জন্য থানায় অভিযোগ এবং জিডি করলে তাকে প্রান হারাতে হবে বলেও হুমকি দেয়ার অভিযোগ রয়েছে।
অনুসন্ধানে ও রাখালদের অভিযোগে জানা যায়,ভোলার ও দৌলতখান উপজেলার মাঝেরচরসহ বিভিন্ন চরাঞ্চলে গত দুই দশক ধরে নতুন উদ্যোগে ব্যবসায়ী ও রাখালেরা মহিষ পালন শুরু করে। সরকারসহ বিভিন্ন এনজিও এবং প্রতিষ্ঠান মহিষকে মেঘনার জোয়ার ও জলোচ্ছাসের কবল থেকে রক্ষার জন্য তৈরী করে দিয়েছে বিশাল আকারের কিল্লা। যে সব কিল্লায় ৫শত থেকে ১৫শ মহিষ আশ্রয় নিতে পারে। চরের বিলে-খালে রাখালেরা ঘাষ খাইয়ে বিকাল বেলায় ওইসব কিল্লায় মহিষ তুলে রাখেন। ফলে মহিষের মৃত্যুহার,বিভিন্ন রোগ বালাই ও ভোগান্তি কমে এসেছে। বানিজ্যিক ভাবে-দুধ, দই আর মাংশ বিক্রি করে বেশী লাভের মুখ দেখতে শুরু করেন মালিক ও রাখালেরা। হঠাৎ করে চরের মধ্যে চকেট জামাল আতংক নেমে আসে চর বাসির মধ্যে। জামালের নেতৃত্বে তার বাহিনী ভোলা সদর ও দৌলতখান উপজেলার মাঝের চরের মেঘনা নদী, শাখা নদী, চরের মধ্যে বিভিন্ন খালে ৪/৫ টি ষ্প্রিট বোর্ড যোগে মহড়া দিয়ে এবং ফাকা গুলি করে চরবাসির মধ্যে আতংক সুষ্টি করে। চরের বিভিন্ন মালিক ও রাখালদের মহিষ আটক করে মুক্তিপন আদায়, চরে মহিষ চড়াতে এবং ঘাস খাওয়াতে হলে তাকে বাধ্যতামুলক চাদা দিতে হয়। চাদা না দিলে তিনি গরু- মহিষ আটক করে মুক্তিপন আদায় করেন। আবার অনেক গরু-মহিষ বিভিন্ন জেলার বড় বড় ব্যাপরীদের কাছে বিক্রি করে দেয়ারও অভিযোগ রয়েছে। চরে তার কোন গরু-মহিষ এবং কিল্লা না থাকলেও, এব্যাপারে চকেট জামালের সাথে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে চরে তার কিছু মহিষ ও কিল্লা আছে বলে দাবী করেন। তবে মহিষের পরিমান তিনি বলতে পারেননি।
দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিল্লুর রহমান জানান, দৌলতখানের বশির মেম্বারের জিডির ভিত্তিতে চকেট জামালের কাছ থেকে তার মহিষ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকী মহিষ তার কাছে ছিল,পরে ওই মহিষ কার বা কি হয়েছে তা আমি জানিনা। আমার কাছে কেউ কোন অভিযোগ বা কোন জিডি করেননি। প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে,চকেট জামালের কবল থেকে মাঝের চরের-কৃষক,মালিক ও রাখালদের নিরাপত্তা দিতে দাবী উঠেছে।

বার ভিউ হয়েছে
0Shares

COMMENTS