ভোলা প্রতিনিধিঃ ভোলা-সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের হাওলাদার বাড়ির ভুমিদস্যু আবু মুসাগংরা জোড় পূর্বক মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিক পরিবারে জমিতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ঘর উত্তোলনের সময় শনিবার ( ২ মে) বিকালে আব্দুল মালেক নামের এক সহযোগীকে আটক করেছে সদর মডেল থানার এ এস আই আনিছুর রহমান, জব্দ করা হয়েছে নির্মান কাজে ব্যবরিত সামগ্রীসহ মাদক সেবনের বিভিন্ন আলামত। সাংবাদিকদেরকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে (১৮ মে) বুধবার ভোলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সন্মেলন করে আবারও ভুমিদস্যুতা শুরু করেছেন তারা। প্রশাসন ও সাংবাদিকদের কাছে ওই ভুমি দস্যুদের বিচার দাবী করেছেন ভুক্তভুগী ভাই-বোনেরা।

ভুক্তভুগী মাজেদ, সাগর, মাকছুরা, হাসনা, ইয়ানুর ও খায়নুর বেগম জানান, তাদের পিতা আঃ ওহাব হাওলাদার মৃত্যুর পর ৫ ভাই ও ৫ বোনের মধ্যে তাদের বাড়ির গন্যমান্য ব্যক্তিরা ১৭ সালে জমি বন্টক করে দেন। ওই মোতাবেক যার যার জমি সে সে ভোগ করে আসছেন। তাদের বাবা শিবপুর মৌজার এস এ ৫২৩ ও ৫২৫ নং খতিয়ানের ১০৩৫ দাগে ১৮ শতাংশ জমির মালিক। ওই জমি বন্টকে ৫ বোনকে দেয়া হয়। ভুমিদস্যু আবু মুসাগংরা আঃ ওহাব হাওলাদারের বড় ছেলে ঢাকায় বসবাসরত আবুল বশারের কাছ থেকে ঢাকা ফতুল্লাহ সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে বসে পাওয়ার দলিল নিয়ে ১ দশমিক ৫০ শতাংশ জমির স্থলে ৩৬ শতাংশ জমির ভুয়া দলিল করে ৪১ শতাংশ জমি দখল করে নেয়ার চেষ্টা চালায়। জমি তাদের বাড়ির কাছে হওয়ায় প্রতি রাতে নারিকেল ও বিভিন্ন প্রজাতির গাছ চুরি করে নিয়ে যায়। তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে তাদের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় একাধিকবার অভিযোগ ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা করা হয়েছে যার নং-১৯৩/২০২২। তাদের উপর রয়েছে আদালতের নিষেধাজ্ঞা। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাতের আধারে গাছ কেটে লুট, ঘর উত্তোলন, বিদ্যুত সংযোগ নিয়ে কাজ করতে থাকে। এঘটনায় পুলিশ ২ জনকে আটক করে। আদালতের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে বিদ্যুত সংযোগ নেয়ার খবর পেয়ে অফিস সত্যতা জেনে বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। আবু মুসাগংরা মঙ্গলবার (১৭ মে) পশ্চিম চরপাতা মৌজার এস এ-২০ নং খতিয়ানের জয়নাল আবেদীন ও সুজাউদ্দৌলার জমি জালিয়াতি করে ভোলা সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল দিতে গেলে জমির ওয়ারিশেরা খবর পেয়ে প্রমানসহ অভিযোগ দিলে দলিল বন্ধ করে দিয়েছে অফিস। আবারও শনিবার ভুমিদস্যু আবু মুসাগংরা জোড় পূর্বক মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিক পরিবারের জমিতে ঘর নির্মানের সময় শনিবার ( ২১ মে ) বিকালে আব্দুল মালেক নামের এক সহযোগীকে আটক করেছে সদর মডেল থানার এ এস আই আনিছুর রহমান, জব্দ করা হয়েছে নির্মান কাজে ব্যবরিত যন্ত্রপাতিসহ মাদক সেবনের বিভিন্ন আলামত। পুলিশের উপস্থিতি টেরপেয়ে ভুমিদস্যু আবু মুসা, মঞ্জুসহ ৫-৬জন পালিয়ে যায়।

ভোলা সদর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক ( ওসি তদন্ত) মোঃ আরমান হোসেন জানান, আবু মুসারা আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জমিতে ঘর উত্তোলন ও আইনশৃংঙ্খলা পরিপন্থি কাজ করার অপরাধে তাদেরসহযোগী আবদুল মালেককে ঘটনাস্থল থেকে অটক করা ও জব্দ করা হয়েছে বিভিন্ন নির্মান কাজে ব্যবরিত বিভিন্ন যন্ত্রপাতি, ওই গুলো জামাল মেন্বারের হেফাজতে রাকা হয়েছে।

ভুমিদস্যুরা আসল তথ্য গোপন করে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ সন্মেলন করে আবারও ভুমিদস্যুতার চেস্টা করছে, তাদের এসকল হয়রানি থেকে মুক্তি পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে সঠিক বিচার দাবী করেছেন ভুক্তভুগীরা। এ বিষয়ে আবু মুসার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন সদত্তোর দিতে পারেননি।