
ভোলার-মেঘনা-তেতুলিয়া থেকে বালু কাটা বন্ধ ও মেঘনার ভাঙ্গন থেকে রক্ষার দাবীতে ঘন্টা ব্যাপী মানব বন্ধন স্মারকলিপি প্রদান হরতালের হুমকি

ভোলা প্রতিনিধি : ভোলায় বৃহস্পতিবার (১০এপ্রিল) সকাল ১১টায়, সদর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক,সমাজ সেবক,সংঙ্গীত শিল্পি ও সাবেক ধর্মমন্ত্রী মরহুম মোশারেফ হোসেন শাজানের পুত্র আসিফ আলতাফের আহবানে, জাতীয় বন্ধজন পরিষদের পরিচালনায়-ভোলা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে, মেঘনা-তেতুলিয়া নদী থেকে অপরিকল্পিত ভাবে বালু কাটা বন্ধ ও মেঘনার ভাঙ্গন থেকে ভোলাকে রক্ষার দাবীতে ঘন্টা ব্যাপী মানব বন্ধন করেছেন সদর উপজেলার হাজার হাজার সাধারন জনতা। বালু কাটা বন্ধ না করলে কয়েকদিনের মধ্যে হরতালের কর্ম সুচী ঘোষনার হুমকিও দেন নেতারা। ভোলার মেঘনা ও তেতুলিয়া থেকে বালু কাটা ও চুরির পথ দেখিয়েছেন আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি-তোফায়েল আহমেদ, সাধারন সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব, যুগ্মসাধারন সম্পাদক জহিরুল ইসলাম নকীব, চকেট জামালেরা। সকাল থেকে-ভেলুমিয়া, ভেদুরিয়া, রাজাপুর,পশ্চিম-পর্ব ইলিশা, কাচিয়া, ধনিয়া ও শিবপুর ইউনিয়ন থেকে বিভিন্ন ব্যনার,ফেস্টুন নিয়ে বিভিন্ন ¤েøাগান দিয়ে হাজার হাজার জনতা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকেন। মুহুর্তের মধ্যে জেলা সদরের শহরের বিভিন্ন সড়ক বন্ধ হয়ে যায়। এস এস সি পরীক্ষার্থীদের দিক বিবেচনা করে মানববন্ধন সংক্ষিপ্ত করে বক্তব্য প্রদান করেন, প্রধান অতিথি-সদর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক,সমাজ সেবক,সংঙ্গীত শিল্পি ও সাবেক ধর্মমন্ত্রী মরহুম মোশারেফ হোসেন শাজানের পুত্র আসিপ আলতাফ। বক্তব্যে তিনি বলেন, ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী সরকারের ফেলে যাওয়া উছিস্ট বালু মহাল সেই আওয়ামীলীগের দোষরা আবার একশ্রেনীর র্দুনীতি বাজদের নিয়ে বালু কাটা শুরু করেছে। এই বালু কাটার ফলে ভোলা ভাঙ্গনের মুখে পরেছে, ইলিশা,কাচিয়া, ধনিয়া এবং শিবপুর অচিরেই ভেঙ্গে যাবে। তিনি আরো বলেন, মুন্সি গঞ্জের ফ্যাসিষ্ট আওয়ামীলীগের র্দূনীতিবাজ খোকন আজ ভোলার বালু ব্যবসায় জড়িত। যেখানে ভোলা-ঢাকা লঞ্চ যাতায়াত করতে পারেনা, চরের মধ্যে যাত্রীসহ লঞ্চ আটকে যায় সেখানে ড্রেজিং করেনা,বালু কাটেনা। অথচ যেটি ভেঙ্গে যায় সেখান থেকে বালু কাটে। আমরা এটি প্রতিহত করবো, তাদেরকে শত শত কোটি টাকা বালু লুট করতে দিবোনা। প্রয়োজনে হরতাল ডাকবো এবং জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে প্রধান উপর্দেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষন করাবো। এর সাথে যদি বিএনপির কেউ জড়িত থাকে তা হলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে বলবো তাদের দল থেকে বহিষ্কার করবেন। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন-জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও জাতীয় বন্ধজন পরিষদের সম্পাদক মিয়া মোঃ ইউনুছ, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি-মোশারেফ হোসেন মিলন। পরে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এসময় জেলা ও উপজেলা বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী এবং হাজার হাজার সাধারন জনতা মানববন্ধনে অংশ নেন।