
নোয়াখালী-২সেনবাগ আসনের সাবেক এমপির মোরশেদ আলম গ্রেফতার হত্যা মামলায় কারাগারে প্রেরণ,

মোঃ জাহাঙ্গীর আলম শায়েস্তানগরী , নোয়াখালী প্রতিনিধি ; নোয়াখালী সেনবাগ সোনাইমুড়ী আংশিক আসনের আওয়ামীলীগ দয়ীয় সাবেক সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। বুধবার রাজধানীর ধানমন্ডি থানার একটি হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে মোরশেদ আলমকে কারাগারে প্রেরণ করে।
এরআগে গতকাল মঙ্গলবার রাতে (৮ এপ্রিল) রাজধানীর গুলশান-২ থেকে মোরশেদ আলমকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি। তার বিরুদ্ধে ঢাকায় হত্যাসহ একাধিক ও সেনবাগ থানায় হামলা ভাংচুর ও লুটপাটের ৩টি মামলা রয়েছে। ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার ও মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের পরিচালক মুহাম্মদ তালেবুর রহমান গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তবে কারাবিধি অনুযায়ী তাকে চিকিৎসা প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৯ এপ্রিল) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জাকির হোসেনের আদালত মোরশেদ আলমকে হাজির করলে আদালত তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের এ আদেশ দেন।রাষ্ট্র পক্ষে শুনানি করেন ঢাকা মহানগর পিপি মোঃ ওমর ফারুক ফারুকী। এর আগে এদিন দুপুরে কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনির মধ্যে দিয়ে মাথায় হেলমেট ও জ্যাকেট পরিয়ে মোরশেদ আলমকে আদালতে নেওয়া হয়।
মোরশেদ আলম ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ী উপজেলার আংশিক) আসন থেকে সংসদ সদস্য (এমপি) হন এরপর ২০১৮ সালে একাদশ এবং ২০২৪ সালে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে একই আসন থেকে সংসদ সদস্য হন ।তিনি বেঙ্গল গ্রæপ ও টেলিভিশ চ্যানেল আরটিভির চেয়ারম্যান।
তিনি ক্ষমতায় থাকা কালে বিএনপি,জামায়াত,যুবদল,ছাত্রদল,স্বেচ্চাসেবকদল,শ্রমিকদল,কৃষকদল,ছাত্রশিবিরের নিরিহ নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে ক্ষমতায় থাকার সিড়ি পাতা পোক্ত করতে ছেয়েছিলো। তিনি শুধু বিএনপি,জামায়াতের নেতাকমীদের হয়রানি করে ক্ষন্ত হননি। তিনি তার মতের বিরুদ্ধে ও সিন্ধান্তের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে তাকে হয়রানি ও দল থেকে বহিস্কার করতেন। তৃতীয় মেয়াদে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি দলের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক লায়ন জাহাঙ্গীর আলম মানিক সহ ইঊনিয়ন পর্যাযের ৪জন সভাপতি ও সম্পাদককে দল থেকে বরখাস্ত করেন। দলীয় সংবিধান চরম ভাবে লংগন করেছেন। তার গ্রেফতারের খবরে সেনবাগ ও সোনাইমুড়ীতে নিজ দলীয় নেতাকমী সহ বিএনপি,জামায়াত,যুবদল,ছাত্রদল,স্বেচ্চাসেবকদল,শ্রমিকদল ও ছাত্র শিবিরের নেতাকর্মীদের মধ্যে আনন্দ প্রকাশ করতে দেখা গেছে।