মঙ্গলবার- ৮ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ -২৫শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ English Version

দশমিনায় মাঠজুড়ে সূর্যমুখীর হাসি

দশমিনায় মাঠজুড়ে সূর্যমুখীর হাসি

পটুয়াখালী প্রতিনিধি। দূর থেকে তাকালেই মনে হয় প্রকৃতি যেন বিশালাকৃতির হলুদ গালিচা বিছিয়ে রেখেছে। কাছে গেলেই দেখা যায় নীল আকাশের নিচে সূর্যমুখী ফুলের মায়াবী রূপ। পটুয়াখালীর দশমিনায় বিস্তৃত মাঠের পর মাঠজুড়ে পরিপক্ব ফুলের সমারোহ। যে দিকে চোখ যায় সেদিকেই হলুদের ছড়াছড়ি। যেন চোখ জুড়ানো মনোমুগ্ধকর এক অপরূপ পাশে সৌন্দর্য। কম খরচে অধিক ফলন ও লাভবান হওয়ায় কৃষকরাও সূর্যমুখী চাষে ঝুঁকছেন। চলতি বছর এ উপজেলায় লবণাক্ত জমিতে সূর্যমুখীর আবাদ হয়েছে সর্বোচ্চ। পতিত জমিতে সূর্যমুখীর চাষে সফলতা এসেছে। ফলে উৎকৃষ্ট মানের তেলের চাহিদা পূরণ করে বাজারজাত করার অপার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে।
একাধিক কৃষক জানান, প্রতি বিঘা জমিতে ৮ থেকে ৯ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে উৎপাদন ভালো হবে। তবে স্থানীয়ভাবে এ বীচ থেকে তৈল উৎপাদনের সুযোগ থাকলে আরও লাভবান হবেন বলে সূর্যমুখী চাষিরা জানান।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে,   দশমিনা উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে ৬৪ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের সূর্যমুখীর চাষ করা হয়েছে।
সূর্যমুখী চাষি সঞ্জয় চন্দ্র ও ফারুক আলম এবং কাজী আনিসুর রহমান বলেন, একটা সময় আমন ধানের পর আর কোনো ফসল উৎপাদন করতাম না। দুই বছর ধরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের পরামর্শে সূর্যমুখী চাষ শুরু করেছি।
সূর্যমুখী চাষি সঞ্জয় বলেন, ‘আমি এ বছর
৬০ শতাংশ জমিতে সূর্যমুখীর আবাদ করেছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাম্পার ফলন হয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাফর আহমেদ জানান, কৃষকরা সূর্যমুখী চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছেন। তবে এখানকার খাল খনন করে পানি রাখা গেলে আরও আগ্রহ বাড়বে কৃষকদের মধ্যে।
বার ভিউ হয়েছে
0Shares

COMMENTS