মঙ্গলবার- ৮ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ -২৫শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ English Version

চারণ সম্রাট মুকুন্দ দা‌স’র স্মরণসভা অনু‌ষ্ঠিত 

চারণ সম্রাট মুকুন্দ দা‌স’র স্মরণসভা অনু‌ষ্ঠিত 

আবদুল্লাহ আল মামুন: ‘হাসি হাসি পরবো ফাঁসি, দেখবে জগৎ বাসী, একবার বিদায় দে মা ঘুরে আসি।’ অমর গানটির রচয়িতা চারণ কবি মুকুন্দ দাস। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে ঝড়তোলা এই চারণ সম্রাটের ৮৮তম মৃত্যুবার্ষিকী। ব্রিটিশ বি‌রোধী আ‌ন্দোল‌নের অগ্নীপুরুষ চারণ সম্রাট মুকুন্দ দা‌সের মৃত‌্যুবা‌ষির্কী উপল‌ক্ষে দাগনভূঞা উপজেলা চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র’র আয়োজনে আ‌লোচনা সভা ও সাংস্কৃ‌তিক অনুষ্ঠান বৃহস্পতিবার (২৬ মে) বিকেলে চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র’র সাধারণ সম্পাদক রাজু ভৌ‌মি‌কের সভাপ‌তি‌ত্বে ও চাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পলাশ দাসের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন আতাতুর্ক সরকারি আদর্শ উচ্চ বিদ‌্যাল‌য়ের সহকারী শিক্ষক ইমাম হো‌সেন, চারণ সাংস্কৃ‌তিক কে‌ন্দ্রের ফেনী জেলার আহবায়ক অর্জুন দাস, আতাতুর্ক সরকার‌ি প্রাথমিক বিদ‌্যালয়ের সহকরী শিক্ষক শহীদ সোহরওয়ার্দী ফি‌রোজ ও দাগনভূঞা প্রেসক্লা‌ব সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) আবদুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ। এসময় শিক্ষক, শিক্ষার্থী,
সাংবাদিক ও চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সদস্যরা সহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বক্তারা বলেন, মুকুন্দ দাস ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে সাংস্কৃতিক মাত্রা যোগ করেছিলেন। গান-যাত্রাপালার মধ্য দিয়ে বাংলার মানুষকে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। আজকের দিনেও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর কর্তব্য হচ্ছে বিদ্যমান দুঃশাসন-শোষণ-নিপীড়নের বিরুদ্ধে জনগণকে প্রতিবাদে উদ্বুদ্ধ করা, প্রগতির পথে চালিত করা। বেশির ভাগ সাংস্কৃতিক সংগঠন সেই ধারা থেকে দূরে সরে গিয়ে এক ধরনের পোশাকি সাংস্কৃতিক চর্চার মধ্যেই নিজেদের সীমাবদ্ধ রাখছে।  মুকুন্দ দাসের সংগ্রামী জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে বর্তমানের সাংস্কৃতিক আন্দোলনকে শক্তিশালী করার দাবি জানান। আলোচনা সভা শেষে মুকুন্দ দাস রচিত গান পরিবেশন করেন চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সদস্যরা।
৭৬ বার ভিউ হয়েছে
0Shares